লঞ্চে নারীর মরদেহ: হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, লঞ্চে বসে ঝগড়ার কারণেই সে তার স্ত্রী লাবনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের রুপাতলী উকিলবাড়ি সড়কের পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৩৪) গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। সে ঢাকার মিরপুর-১ এর দারুস সালাম প্রিন্সিপাল আবুল কালাম রোডের সরকারি আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।
সেখান থেকেই বরিশাল জেলা পিবিআই সদস্যরা ঢাকা মেট্রো (উত্তর) পিবিআই সদস্যদের সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
হুমায়ুন কবির জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বরিশাল নদী বন্দরে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চের কেবিনবয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে ওই কেবিনে গিয়ে দরজা খোলা অবস্থায় অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ খাটের ওপর পরে থাকতে দেখে।
তাৎক্ষনিক নৌ-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। সুরতহাল ও অন্যান্য আলামতের ভিত্তিতে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
পিবিআই তদন্তের প্রথমভাগেই অজ্ঞাত ওই নারী জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী বলে জানতে পারে। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আদমপুর এলাকায়। তিনি ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে বসবাস করতেন।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা ওই নারীর সঙ্গে লঞ্চে ওঠা ব্যক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। এক পর্যায়ে শনাক্ত ব্যক্তিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Comments