ই-ক্যাবের সদস্য বিক্রেতাদের থেকে অনলাইনে কম দামে পেঁয়াজ পাবেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা
অনলাইন শপের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য গ্রোসারি ই-কমার্স শপগুলো কম মূল্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রির সুযোগ পাবে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখনও ছয় লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবুও মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও কম দামে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।’
সরকারের কাছ থেকে পেঁয়াজ পেলে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ক্যাম্পেইন শুরু করবে এবং শিগগির সরকার নির্ধারিত দামে অনলাইনে বিক্রি শুরু করবে।
এ বিষয়ে ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি যৌথভাবে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। এই কমিটি নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারিশপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে কিনা তা তদারকি করবে।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা ই-ক্যাব থেকে ইতোমধ্যে করোনাকালীন নিয়মিত সেবা দিয়ে মানুষের পাশে আছি। এছাড়া লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য সরবরাহ, আম মেলার মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রয় ও ডিজিটাল কুরবানি হাটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে একদিকে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, অন্যদিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর সফলতাই আমাদেরকে আজ পেঁয়াজের বাজারে নিয়ে এসেছে।’
জানা যায়, সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজের দশ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই পরিমাণ কম হলেও পরে তা বাড়ানো হবে। আশা করা যায় ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ অনলাইন শপ থেকে এই কর্মসূচীর আওতায় বিক্রি করা হবে।
Comments