শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট ও মাদারিপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ১৬টি ফেরি চলাচলই বন্ধ আছে। লৌহজং চ্যানেলে ড্রেজিং করে নাব্যতা ফেরানোর আশায় কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, ফেরি চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই রুটের যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ড্রেজিং চলছে। তবে, আজ এই নৌরুটে ফেরি চালনা করার সম্ভাবনা কম।
উল্লেখ্য ১৫ সেপ্টেম্বর নৌরুট পরিদর্শন শেষে নৌসচিব মো. মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, দুইদিনের মধ্যে লৌহজং চ্যানেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে, লৌহজং চ্যানেল ড্রেজিং করে নাব্যতা ফেরানোর ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কথাও বলেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে লৌহজং টার্নিং দিয়ে ফেরি চলাচলের জন্য বলা হয়েছিল। দুইদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা এই নৌরুট পরিদর্শন শেষে আগের নৌরুট দিয়ে ফেরি চলবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ এখনো চ্যানেল বুঝিয়ে না দেওয়ায় ফেরি চলাচল করতে পারছে না। এজন্য ফেরি চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, শিমুলিয়াঘাটে পারের অপেক্ষায় আছে ৩০টির মতো যানবাহন। এরমধ্যে ২৫টি পণ্যবাহী ট্রাক। পণ্যবাহী গাড়ি এপাড়ে বেশিসময় ধরে অপেক্ষার অন্যতম কারণ শিমুলিয়াঘাট দিয়ে বেশি মাল বহনকারী গাড়ি পার করা হয়।
শিমুলিয়াঘাটের ম্যারিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ জানান, পালের চর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার পথ দূরত্ব অতিক্রম করে ফেরি চালাতে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। এই নৌরুটে চলাচলে যাত্রী, গাড়ি চালক ও ফেরি সংশ্লিষ্টরাও বিরক্ত। তবে, লৌহজং চ্যানেল দিয়ে ফেরি চালানোর জন্য বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্দেশনা আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আট দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক ৩টি ফেরি ও ১২ সেপ্টেম্বর ৫টি ফেরি চলে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ও ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ফেরি পালের চরের চ্যানেল দিয়ে চলে।
Comments