হাটহাজারী মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

হেফাজতে ইসলামের প্রধান আহমদ শফির ছেলে আনাস মাদানিকে প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণের দাবিতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের একদিন পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (মাদ্রাসা -২) সৈয়দ আসগর আলীর সই করা একটি নোটিশে বলা হয়, ২৪ আগস্ট মাদ্রাসা পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও, শর্ত যথাযথভাবে পালন না হওয়ায় হাটহাজারি মাদ্রাসা পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

দ্য ডেইলি স্টার নোটিশের একটি অনুলিপি পেয়েছে। এই আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বদিউল আলম পাভেল জানান, মাদ্রাসা বন্ধ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তারা আদেশ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, 'নোটিশ পাওয়ার পরে আমরা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার কাজ শুরু করেছি। আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। যদি কেউ এ আদেশ ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক জানান, তারাও বন্ধের আদেশ সম্পর্কে জেনেছেন।

তিনি বলেন, 'যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মাদ্রাসা এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আছে।'

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আন্দোলনে মাঠে নামেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। 

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন ‘বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন খবরে মাদ্রাসা ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মূল ফটক আটকিয়ে বিক্ষোভ করার কারণে পুলিশ বা প্রশাসনের কেউই ভেতরে ঢুকতে পারেনি।’

তবে মাদ্রাসার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বার বার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও হেফাজত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

3h ago