নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী আটক

নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ফতুল্লা অঞ্চলের সাময়িক বরখাস্ত চার কর্মকর্তাসহ আট জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
DIG_Mainul_Narayanganj_19Se.jpg
অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডিআইজি মো. মাঈনুল হাসান। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ফতুল্লা অঞ্চলের সাময়িক বরখাস্ত চার কর্মকর্তাসহ আট জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি’র কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডিআইজি মো. মাঈনুল হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে সদর উপজেলার ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিতসের আট জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন— তিতাস ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহামুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার ও প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেল্পার মো. হানিফ মিয়া এবং কর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।’

তিনি আরও বলেন, ‘মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের সাময়িক বহিস্কৃত আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর গাফিলতি থাকায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। মসজিদ কমিটির গাফিলিত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় তিতাসের গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বাইতুস সালাত জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া ৩৯ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিআইডিকে।

আরও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও ১ জনের মৃত্যু

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

5h ago