৪৩৭ দিন পর মাঠে ফেরা ধোনির জয়ের ‘সেঞ্চুরি’

dhoni
ছবি: টুইটার

২০১৯ সালের ৯ জুলাই। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ম্যানচেস্টারে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। সেদিন রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি।

২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ত্রয়োদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে শিরোপাধারী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে সহজেই হারিয়ে শুভ সূচনা করল চেন্নাই সুপার কিংস। আরও একবার অধিনায়কত্বের দক্ষতা দেখিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত তারকা।

মাঝে কেটে গেছে ৪৩৭ দিন! ধোনিকে দেখা যায়নি ২২ গজে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরও নিয়ে ফেলেছেন। গত ১৫ অগাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে বিদায়ের ঘণ্টা বাজান তিনি।

তাই ধোনির প্রতীক্ষায় ছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা; ভারত তো বটেই, গোটা বিশ্বেরও। ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে অবদান তাকে রাখতে হয়নি। দুই বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তবে তার আগে দেখান নেতৃত্বগুণ। প্রথমে রবীন্দ্র জাদেজাকে আক্রমণে ফিরিয়ে মুম্বাইয়ের ইনিংসে ছন্দপতন ঘটান। পরে স্যাম কারানকে নিজের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চমকে দেন।

ধোনির নেতৃত্বের মুন্সিয়ানায় মুম্বাইয়ের বিপক্ষে টানা হারের বৃত্ত ভেঙেছে চেন্নাই। আগের পাঁচ ম্যাচেই রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদেরকে।

৫ উইকেটের দারুণ জয়ের মাধ্যমে দারুণ এক কীর্তিও গড়েছেন ৩৯ বছর বয়সী ধোনি। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ জেতার ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করেছেন তিনি। কেবল একটি নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে কেন, সবমিলিয়েও আইপিএলে ১০০টি ম্যাচ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড নেই আর কারও।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরে এখন পর্যন্ত মোট ১৭৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। জিতেছেন ১০৫ ম্যাচে, হেরেছেন ৬৯ ম্যাচে, ফল হয়নি একটিতে। চেন্নাইয়ের জার্সিতে ‘সেঞ্চুরি’ করার আগে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসকে পাঁচটি ম্যাচে জিতিয়েছিলেন তিনি।

আইপিএলে সফল অধিনায়কদের তালিকায় ধোনির পরেই আছেন ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর (১২৯ ম্যাচে ৭১ জয়)। তৃতীয় স্থানটি রয়েছে দলটির বর্তমান ওপেনার রোহিতের দখলে (১০৫ ম্যাচে ৬০ জয়)।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago