চট্টগ্রামে মানহীন মেডিকেল ডিভাইস বিক্রির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চট্টগ্রামে মানহীন ও ত্রুটিপূর্ণ মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রি ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৬০ হজার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সকাল ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহায়তায় মেডিকেল ডিভাইস ও সার্জিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পাচলাইশ থানার মুন্নি প্লাজার রওশন এন্টারপ্রাইজকে দুই লাখ, কোতয়ালী থানার আন্দরকিল্লার তাজ এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ, এবি সার্জিক্যালকে ৫০ হাজার এবং একুশে সার্জিক্যালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘করোনা মহামারিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। আমরা মেডিকেল ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে টেস্ট করে দেখি যন্ত্রগুলো একই ব্যক্তির শরীরের অক্সিজেন মাত্রা, ব্লাডপ্রেশার, পালস ও ডাইবেটিক মাত্রা কয়েক ধরনের রিডিং দেয়। অর্থাৎ, এগুলো নকল এবং যন্ত্রগুলো আমদানিতে সরকারের অনুমোদন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাজ সার্জিক্যাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থ ও বিভিন্ন কেমিক্যাল রাখে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাদের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে এগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্যে মুচলেকা নেওয়া হয়।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘করোনায় ব্যবহৃত পালস অক্সিমিটারসহ থার্মাল স্ক্যানার ঠিক না থাকায় এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্যে খুবই বিপদজনক। ভুল রিডিংয়ের কারণে মানুষের ডায়াগনস্টিক ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে, উপযুক্ত চিকিৎসা বা ভুল চিকিৎসা নিয়ে মানুষের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ছে।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউল আলম বলেন,করোনার এই সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও নকল মেডিকেল ডিভাইস বিক্রয় করে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করছে। মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি লাভে চেষ্টা করবে তাদের আইনের আওতায় নিতেই আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comments