৩ দফা দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ‘মিথ্যা মামলা, পুলিশি হামলা ও আটকের প্রতিবাদে’ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করে সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় কমিটির সমাবেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা আজ তিনটি দাবি জানিয়েছি— আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; গতকাল হামলায় যারা আহত হয়েছে রাষ্ট্রকে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে আমাদের আন্দোলনে বাধা প্রদান করা যাবে না। গতকাল হামলায় আমাদের ৫০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চার জন এখানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হবে। আজ যখন আমরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলাম তখনো হাইকোর্ট মোড়ে, টিএসসিতে পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরাদের প্রশ্ন হলো, মিছিল-মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার সেখানে পুলিশ কেন বাধা দেবে!’
যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল মৎস ভবনে আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কার্মসূচি পালন করে চলে যাব। কিন্তু সামনে থেকে বেরিকেড দিয়ে পেছন থেকে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে আমাদের চার জন নারী কর্মী ছিল যাদের লাঞ্ছিত করা হয়। একজনকে টেনে-হেঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি দুই জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, ‘কাল যখন আমি পল্টন থেকে মৎস ভবনের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন পুলিশ রিকশা থামিয়ে বলে তোমরা ভিপি নূরের দিকে যাচ্ছো, তোমরা শিবিরকর্মী। এই বলে আমাদের আটক করে নিয়ে যায়। একটি বর্বর, ঘৃণ্য ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের ওপর। শুধু মামলা না, তারা আমাদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে।’
বক্তারা বলেন, গতকাল পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে যারা ছিল তারা কারা? পুলিশের হাতে কেন হকিস্টিক থাকবে? পুলিশের হাতে কেন রড থাকবে? সাদা পোশাকে হকিস্টিক হাতে যারা ছিল তারা কারা, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:
নাটকীয়তার পর রাত পৌনে ১টায় ছাড়া পেলেন নূর
নূরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
Comments