সুয়ারেজকে অ্যাতলেতিকোতেই ছাড়ছে বার্সেলোনা

লা লিগায় নিজেদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে লুইস সুয়ারেজের যাওয়া আটকাতে চেয়েছিলেন বার্সেলোনা ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুয়ারেজের জেদের সামনে হারতে হয়েছে তাকে। সুয়ারেজের হুমকিতে অ্যাতলেতিকোর কাছেই তাকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
ছবি: এএফপি

লা লিগায় নিজেদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে লুইস সুয়ারেজের যাওয়া আটকাতে চেয়েছিলেন বার্সেলোনা ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুয়ারেজের জেদের সামনে হারতে হয়েছে তাকে। সুয়ারেজের হুমকিতে অ্যাতলেতিকোর কাছেই তাকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে কাতালান ক্লাবটি।

নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান বার্সা শিবিরে যোগ দেওয়ার পরই সুয়ারেজকে নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তখন জুভেন্টাসের সঙ্গে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় দেরি হওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এরপর অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত করেন সুয়ারেজ। বার্সার সঙ্গে চুক্তির ইতিও টানেন।

কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বার্সা সভাপতি বার্তোমেউ। এরপরই সুয়ারেজ সব সংবাদমাধ্যমে জানানোর হুমকি দেন। এমনকি বার্সায় থেকে যাওয়ার হুমকিও দেন। সেক্ষেত্রে খেলেন আর নাই খেলেন বেতনের পুরো টাকাই দিতে হতো তাকে। বার্সেলোনায় বাৎসরিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো বেতন পেতেন সুয়ারেজ। এ মুহূর্তে কোচের পরিকল্পনার বাইরের একজন খেলোয়াড়কে এ পরিমাণ অর্থ খরচ করে পোষার ক্ষমতা নেই বললেই চলে ক্লাবটির। তাই বাধ্য হয়েই সুর নরম করেন বার্সা সভাপতি।

এছাড়া সুয়ারেজকে ছাড়ায় ৪ মিলিয়ন ইউরোও পাচ্ছে বার্সেলোনা। অবশ্য তা নানা শর্ত সাপেক্ষে। জানা গেছে বার্সাকে এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে দুই বছরের জন্য সুয়ারেজের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি করতে রাজি হয়েছে অ্যাতলেতিকো। তবে সুয়ারেজের বেতনও কমছে সেখানে। বার্সায় পাওয়া বেতনের অর্ধেক পাবেন নতুন ক্লাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন সুয়ারেজ। এরপর ক্লাবে ছয় বছর কাটিয়ে তিনি ২৮৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১৯৮টি। জিতেছেন ৪টি লা লিগা শিরোপা, চারটি কোপা দেল রের শিরোপা। ২০১৫ সালে বার্সার দ্বিতীয় ট্রেবল জয়ে প্রত্যক্ষ অবদান ছিল তার।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

5h ago