লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার উপরে

Flood_lalmonirhat24Sep20.jpg
তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি আরও বাড়ছে। চর ও দ্বীপচরের বাসিন্দারা সরকারি রাস্তা, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হাতীবান্ধার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে আসা ঢলে জেলার ছোট ছোট নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে শতাধিক চর, দ্বীপচর ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান-সবজির ক্ষেত, রাস্তা, বাড়ি-ঘর।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী দ্বীপচরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল বিকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। আজ সকালে আরও বেড়ে যায়। বাড়ির ভেতরে স্রোত বয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছি। দুটি ঘর ভেঙে আনতে পেরেছি।’

একই এলাকার আক্কাস আলী বলেন, ‘স্রোতে একটি ছাগল, কয়েকটি হাঁস-মুরগি ও ঘরের বেড়া ভেসে গেছে। তিনটির মধ্যে দুটি ঘর ভেঙে আনতে পেরেছি। তিস্তার পানি আরও বাড়ছে।’

লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর শিবেরকুটির এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আবারও বন্যার কবলে পড়তে হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সরকারি রাস্তায় আছি। তিন বিঘা জমির আমন ধান ও এক বিঘা জমির সবজি তলিয়ে গেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যার পানি নেমে না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মিজান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি আরও বাড়ছে। চর ও দ্বীপচরের বাসিন্দারা সরকারি রাস্তা, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Trump won't say if US will strike Iran, but says it's 'late to be talking'

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago