ন্যু ক্যাম্প থেকে কেঁদে বিদায় নিলেন সুয়ারেজ

ন্যু ক্যাম্পে নিজের শেষ দিন, শেষ সংবাদ সম্মেলন। বেশ কিছু কঠিন এক প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন লুইস সুয়ারেজ। ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ তার পাশে বসা। প্রশ্ন করা হয়, জোর করে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়ায় মনে কোনো কষ্ট রয়েছে কি-না তার?
ছবি: সংগৃহীত

ন্যু ক্যাম্পে নিজের শেষ দিন, শেষ সংবাদ সম্মেলন। বেশ কিছু কঠিন এক প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন লুইস সুয়ারেজ। ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ তার পাশে বসা। প্রশ্ন করা হয়, জোর করে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়ায় মনে কোনো কষ্ট রয়েছে কি-না তার?

এমন প্রশ্নে কি উত্তর দিবেন সুয়ারেজ? 

মঞ্চে যখন গেলেন, মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে সবে দুই একটা শব্দ বেরিয়েছিল; সবে বলেছিলেন, 'আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই,' তখনই দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে তার। থেমে যান। কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আবারো আবেগাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। কণ্ঠটা ভারী হয়ে আসে।

আগের দিন যখন অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখনও কেঁদে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। এমনকি ন্যু ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে গাড়িতেও কাঁদতে দেখা যায় তাকে। কান্না লুকাতে পারলেন না এদিনও।

মঞ্চে যখন উঠেছিলেন তখন থেকেই চোখ ছলছল ছিল সুয়ারেজের। সতীর্থ লিওনেল মেসি, জর্দি আলবা, জেরার্দ পিকে, সের্জিও রোবার্তো ও সের্জিও বুসকেতসও দেখছিলেন। কিন্তু ঠিকমত কথাই বলতে পারলেন না তিনি। থেমে থেমে কেঁদেই বার্সেলোনাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালেন এ উরুগুইয়ান।

'আমি ধন্যবাদ জানাই সবাইকে। আমি জানি আমি এখানে আসার আগে একটি ভুল (বিশ্বকাপে কিয়েলিনিকে কামড় কাণ্ড) করেছিলাম। তারপরও তারা আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমাকে এখানে এনেছে। বিশ্বের সেরা ক্লাবে খেলা আমার একটি স্বপ্ন ছিল। আমি এখানে বন্ধুও বানিয়েছি। যে কারণে আমি এখানে সুখী ছিলাম।' - আবেগি কণ্ঠে বলেন সুয়ারেজ।

'একজন খেলোয়াড় যাচ্ছে কিন্তু সে একজন মানুষও জার সঙ্গে অনুভূতিগুলোও যাচ্ছে। আমি সব সুখস্মৃতিগুলো মনে করতে চাই, শিরোপা, গোল এবং ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার সুযোগ।'

আর ক্লাব থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বের করে দেওয়ার সে প্রশ্নের উত্তরে থতমত খেলেন কেবল, 'আমার জন্য আসলে...'

মুখে তখন জোর করে হাসি দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু চোখমুখের অভিব্যক্তিই সব বলে দেয়।

'ক্লাব পরিবর্তন চায় এবং নতুন ম্যানেজার রোনাল্ড কোমান আমাকে এ দলের অংশ বানাতে চায় না। যখন কোচ আমাকে বলে তখন আমি বুঝে যাই এখানে সব শেষ। এটা পাগলাটে একটি মাস ছিল। অনেক গুজব তৈরি হয়েছে, ফাঁস হয়েছে। কিন্তু আমি এখনও ভাবতে পারছি না, আমাকে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলতে হবে। আমি এটা হজম করতে পারিনি।'

আগামী ২২ নভেম্বর ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে চলতি মৌসুমে প্রথম মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও অ্যাতলেতিকো। এরপর ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয় মোকাবেলা হবে ৯ মে।

ন্যু ক্যাম্পে মেসিই সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন সুয়ারেজের। জানা গেছে, সুয়ারেজের বিদায়ে খুশি নন মেসি। এ প্রসঙ্গ উঠলে এ উরুগুইয়ান বলেন, 'লিও জানে আমি কি ভাবছি এবং আমি জানি লিও কি ভাবছে। আমরা একে অপরকে উপদেশ দেওয়ার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। লিও কিছুটা অবাক হচ্ছে কারণ আমি সরাসরি তার রাইভাল হচ্ছি। তবে কোনো কিছুতেই আমাদের সম্পর্ক বদলাবে না। কারণ আমরা উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার হয়েও একে অপরকে মোকাবেলা করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago