শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল এখনো সীমিত, গাড়ির চাপ

ষষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই নৌরুট এড়িয়ে চলার কথা বারবার বলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। কিন্তু, তারপরও অনেক গাড়ি পদ্মাপাড়ের জন্য ঘাটে আসছে।
Shimulia_Ferry_25Sep20.jpg
ষষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। ছবি: স্টার

ষষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই নৌরুট এড়িয়ে চলার কথা বারবার বলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। কিন্তু, তারপরও অনেক গাড়ি পদ্মাপাড়ের জন্য ঘাটে আসছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বেলা ১২টায় পারের অপেক্ষায় ছিল প্রায় আড়াই শ যানবাহন। সকাল ৫টা থেকে বহরে থাকা ১৫টি ফেরির মধ্যে শুধু পাঁচটি ছোট ফেরি চলাচল করেছে। ফেরিগুলো হলো— কাকলি, কিশোরী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ক্যামেলিয়া।

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে সব সময়ই শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ফেরি চলাচলের চ্যানেল বিপর্যয়ের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই নৌরুট ব্যবহার না করার জন্য বলা হচ্ছে বারবার। তারপরও এখন মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে কিছু করার নেই। সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি আছে। এসব ছোট ফেরিতে বেশি গাড়ি বহন করারও সুযোগ নেই।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো ফেরি পর্যন্ত যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। গাড়ি রাখার স্থান পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এর আগে কখনো এতো গাড়ি ঘাটে আসেনি। শিমুলিয়া ঘাটে বেলা সাড়ে ১২টায় আড়াই শ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।’ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন গাড়ির চাপও আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, হাজরা চ্যানেলটি ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এই নৌরুটে ফেরি চলবে। ফেরি চলাচলের জন্য বর্তমান চ্যানেল দিয়ে রো রো ও ডাম্প ফেরিগুলো চলাচল করতে পারবে না। নিরাপত্তাজনিত কারণে সন্ধ্যার পর ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলা ফেরি চলে।

বিআইডব্লিউটিসি জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আটদিন এই নৌরুটে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক তিনটি ফেরি ও ১২ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে। ১৩ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে এবং রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ও ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ফেরি পালের চরের চ্যানেল দিয়ে চলে।

১৭ সেপ্টেম্বর পুরোপুরি বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে পরীক্ষামূলক দুইটি ফেরি আসা-যাওয়া করে চায়না চ্যানেল দিয়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর শুধু দিনে পাঁচটি ছোট ফেরি ও ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। ২১ সেপ্টেম্বর চারটি ছোট ফেরি শুধু দিনে চলে। ২২ সেপ্টেম্বর, ২৩ সেপ্টেম্বর ও ২৪ সেপ্টেম্বর সীমিত পরিসরে পাঁচটি ফেরি চলাচল করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago