মরিনহো লম্বা হননি, গোলপোস্টের উচ্চতা কম ছিল!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে জোসে মরিনহো ঠাট্টার ছলে লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম আমি হয়তো লম্বা হয়েছি, কিন্তু তারপর বুঝলাম গোল ৫ সেন্টিমিটার নিচু ছিল।’
ঘটনাটা কী?
বৃহস্পতিবার রাতে উয়েফা ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শ্কেনদিয়াকে মোকাবিলা করে মরিনহোর দল টটেনহ্যাম হটস্পার। উত্তর মেসিডোনিয়ার ক্লাবটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তারা পা রেখেছে প্রতিযোগিতার প্লে-অফ পর্বে। কিন্তু জয় তুলে নেওয়ার আগে অদ্ভুতুড়ে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল সফরকারী স্পার্সরা।
টটেনহ্যামের দুই গোলরক্ষক হুগো লরিস ও জো হার্ট ম্যাচ শুরুর আগে মরিনহোকে জানান, গোলপোস্টের উচ্চতা তাদের কাছে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে মনে হচ্ছে! শিষ্যদের সন্দেহ আমলে নিয়ে ইংলিশ ক্লাবটির তারকা কোচ নিজেই তদন্ত করতে মাঠে নেমে পড়েন। গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে তিনিও অনুধাবন করেন যে, গোলপোস্ট আকারে ছোট।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো বলেন, ‘খেলা শুরু হওয়ার আগে মজার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কারণ আমার গোলরক্ষকরা আমাকে বলেছিল যে, গোলপোস্ট আকারে ছোট ছিল।’
‘আমি নিজে তা পর্যবেক্ষণ করতে গেলাম এবং অবশ্যই গোল ছোট ছিল। গোলরক্ষকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গোলের মধ্যে কাটায় এবং সেকারণে গোলের আকার ঠিক না থাকলে তারা বুঝতে পারে।’
‘আমি গোলরক্ষক নই, কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমি ফুটবলকে চিনি এবং যখন আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আমার হাত উপরের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, তাৎক্ষণিকভাবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কিছু একটা ভুল হচ্ছে।’
পর্তুগিজ কোচ মরিনহো এরপর বিষয়টি অবহিত করেন উয়েফার প্রতিনিধিদের। তারা মেপে দেখতে পায় যে, স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে নিচু ছিল দুটি গোলপোস্টই। পরে টটেনহ্যামের দাবির প্রেক্ষিতে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়।
৫৭ বছর বয়সী মরিনহো জানান, ‘আমরা উয়েফার কর্তাদের শরণাপন্ন হই এবং হ্যাঁ, এটা ৫ সেন্টিমিটার ছোট ছিল। তাই আমরা গোলপোস্টগুলো পাল্টে সঠিক আকারের গোলপোস্ট দেওয়ার দাবি করি।’
গোলপোস্টের আকার ঠিক না থাকলেও শ্কেনদিয়ার বিপক্ষে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। কারণ যে মাঠে খেলা হয়েছে, সেটি তাদের নিজস্ব মাঠ নয়। দলটির হোম ভেন্যু উয়েফার বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে না পারায় উত্তর মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়ের টোশে প্রোয়েস্কি স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে তাদের।
জটিলতা কাটিয়ে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে এরিক লামেলার গোলে গিয়েছিল স্পার্সরা। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ভালমির নাফিউ। এরপর ৭০তম মিনিটে সন হিউং-মিন ও ৭৯তম মিনিটে হ্যারি কেনের গোলে জয় নিশ্চিত করে মরিনহোর শিষ্যরা।
ইউরোপা লিগের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আগামী বুধবার রাতে ম্যাকাবি হাইফার মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম। ইসরায়েলের ক্লাবটির বিপক্ষে প্লে-অফ পর্বের ম্যাচটি তারা খেলবে নিজেদের মাঠে।
Comments