হাতিয়ায় ট্রলার ডুবে ২ জেলের মৃত্যু, জীবিত উদ্ধার ৯

বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে ভাসানচরের কাছে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের মুখে পড়ে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে দুই কিশোর জেলে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নয় জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে মেঘনা নদীতে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হচ্ছেন- হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের চরলটিয়া গ্রামের রাজিব হোসেন (১৪) ও চরকিং ইউনিয়নের চরকৈলাশ গ্রামের ইনসাফ হোসেন (১৬)।
আজ শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক সেলিম মেম্বার জানান, তার ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার ট্রলারটি নিয়ে বুধবার ভোরে ১১ জন জেলে মাছ ধরতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে ১০০ কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরে যায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে জেলেরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ৮টার দিকে হাতিয়া থেকে ৭০ কিমি দূরে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে মেঘনা নদী এলাকায় পোঁছানোর পর প্রচণ্ড বাতাস, ঢেউ ও স্রোতের মুখে মাছ ধরার ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়।
এ সময়, ওই এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা এগিয়ে এসে ৯ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু, কিশোর জেলে রাজিব ও ইনসাফকে তারা খুঁজে পাননি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ দুই কিশোরের মরদেহ ভেসে উঠলে জেলেরা উদ্ধার করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া থানায় নিয়ে আসে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই কিশোর জেলের মরদেহ হাতিয়া নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নৌ পুলিশ মৃতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাতিয়ার জেলে সম্প্রদায় ও ট্রলার মালিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে যে ১৮ বছরের নিচে কোনো জেলেকে মাছ ধরার ট্রলারে নেওয়া যাবে না। যারা এ আদেশ ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments