সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি

ছবি: সংগৃহীত

অব্যাহত বর্ষণে সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের নিচু এলাকাগুলোতে আবারও পানি ঢুকে পড়েছে।

পানি ওঠানামা করায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও কাজিপুর ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরে চার দফা বন্যার পর যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করে। তবে, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে  শুরু করে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এনায়েতপুরে শুরু হয় ব্যাপক নদীভাঙন। গত দুই দিনে অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কেএম রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উজানের ঢলে নদিতে পানি বাড়ছে। তবে, এখনো বিপৎসীমার উপরে ওঠেনি। এ বছর প্রতিনিয়ত যমুনার পানি ওঠানামা করছে, ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে হতেও পুরোপুরি হচ্ছে না। নদীতে পানি প্রবাহের অস্থিতিশীলতার জন্য এ বছর নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।’

গত কয়েকদিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম, চৌহালি উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকা এবং কাজিপুর উপজেলার কিছু এলাকায় ভাঙনের তীব্রতায় অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে।

চৌহালির পাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন প্রামাণিক বলেন, ‘জীবনে প্রায় ১০ বার ঘর সরিয়েছি ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে। কিন্তু, এ বছর যমুনার ভাঙন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঘর সরিয়ে নতুন করে কোনো জায়গায় ঘর স্থাপনের জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। বন্যার এমন আচরণ এর আগে কখনো দেখিনি।’

থাকার ঘর নেই, খাবার দানা নেই, কাজের ব্যবস্থা নেই, কবে এ বন্যার শেষ হবে তাও জানা নেই, সব মিলিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই বন্যাকবলিত এলাকার অসহায় মানুষের বলে জানান বৃদ্ধ ইয়াসিন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নদীতে পানি বিপৎসীমার উপর না ওঠায় এখন বন্যা অফিসিয়ালি নেই বলে মনে হচ্ছে। তবে, টানা বর্ষণে নিচু এলাকাগুলো এখনো পানিবন্দি থাকায় বন্যা পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি হয়নি। বন্যাকবলিত এলাকায় নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করায় বন্যা কবলিতরা দুর্ভোগে আছেন।’

ভয়াবহ ভাঙনের শিকার চৌহালিতে ইতোমধ্যে সহস্রাধিক প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

7h ago