ধরলা বিপৎসীমার উপরে, লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ধরলা পাড়ের নয় উপজেলায় ২৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম, চর ও দ্বীপচরে ৩৫ হাজারের বেশি পরিবার বন্যার্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
Dhorola_26Sep20.jpg
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ধরলা পাড়ের নয় উপজেলায় ২৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম, চর ও দ্বীপচরে ৩৫ হাজারের বেশি পরিবার বন্যার্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ছবি: স্টার

ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ধরলা পাড়ের নয় উপজেলায় ২৫টি ইউনিয়নের  শতাধিক গ্রাম, চর ও দ্বীপচরে ৩৫ হাজারের বেশি পরিবার বন্যার্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে আছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ধরলাপাড়ের শিবেরকুটি গ্রামের কৃষক শরবত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাড়িতে বানের পানি ওঠায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। গেল তিন দিন ধরে পলিথিন দিয়ে ঝুঁপড়ি ঘর তৈরি করে আছি। সব সময় বৃষ্টির কারণে ঘুমাতে পারি না।’

একই উপজেলার চর থারুয়া এলাকার কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বন্যার পানির সঙ্গে লড়াই করে তারা বাড়িতে আছেন। ঘরের ভেতর একহাঁটু পানি। খাটের উপর বসে থাকতে হচ্ছে। গ্রামের রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলাপাড়ের মোগলবাসা গ্রামের দিনমজুর দয়বর আলী বলেন, বার বার বন্যার কবলে পড়ে তাদের চরম অশান্তিতে দিন কাটাতে হচ্ছে। ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।

ঋণের টাকায় পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান ও এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব গ্রামের কৃষক আজগর আলী। তিনি বলেন, সমস্ত ফসল বন্যার পানিতে ডুবে আছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে নষ্ট হয়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago