সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে অ্যামি কনি ব্যারেটকে ট্রাম্পের মনোনয়ন

Amy_Coney_Barrett.jpg
অ্যামি কনি ব্যারেট। ছবি: রয়টার্স

সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হিসেবে অ্যামি কনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি জানায়, ব্যারেটের নিয়োগ মার্কিন সিনেটের ভোটে নিশ্চিত হলে তিনিই সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

৪৮ বছর বয়সী অ্যমি কনি ব্যারেট ধর্মীয় রক্ষণশীলদের একজন পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব। হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে এক বক্তব্যে ট্রাম্প তাকে ‘অসামান্য কৃতিত্বের একজন নারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন করেছিলেন।

শনিবার, বিচারক ব্যারেটকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ট্রাম্প তাকে ‘সংবিধানের প্রতি নিরপেক্ষ আনুগত্য আছে এমন একজন উজ্জ্বল পণ্ডিত ও বিচারক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসকে নির্বাচিত না করা পর্যন্ত এই শূন্য পদে (সুপ্রিম কোর্টের) মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য সিনেটের প্রতি আহ্বান জানান।

বিবিসি আরও জানায়, এই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সিনেটে এই মনোনয়ন নিশ্চিত করা নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হতে পারে।

নিয়োগ নিশ্চিত হলে ব্যারেট হবেন সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনোনীত তৃতীয় বিচারপতি, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে কনসারভেটিভ বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াবে ৬-৩ এ।

সে ক্ষেত্রে রিপাবলিকানরা আগামী কয়েক দশকের জন্য সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে রাখার সুবিধা পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা আমৃত্যু এ পদে থাকার সুযোগ পান। তাদের সিদ্ধান্ত কয়েক দশক পর্যন্ত অস্ত্র নীতিমালা, ভোটাধিকার থেকে শুরু করে গর্ভপাত পর্যন্ত সবগুলো সর্বজনীন নীতিকে আকার দিতে পারে।

ডেমোক্র্যাটরাসহ নাগরিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ব্যারেটের এ নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

ইন্ডিয়ানার নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করার পরে তিনি প্রয়াত বিচারপতি আন্তোনিন স্কালিয়ার ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৭ সালে তাকে শিকাগো ভিত্তিক সপ্তম সার্কিট কোর্ট অব আপিল বেঞ্চে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ১৮ সেপ্টম্বরে ওয়াশিংটন ডিসিতে ৮৭ বছর বয়সে বিচারপতি গিন্সবার্গ মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোটে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতিও ছিলেন গিন্সবার্গ।

তার মৃত্যুতে সর্বোচ্চ আদালতের খালি হওয়া বিচারপতির আসন পূরণ নিয়ে ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক বিরোধ দেখা যায়।

ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রিপাবলিকানরা এমন একজনকে মনোনয়ন দেবে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কয়েক দশকের জন্য নিশ্চিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago