উখিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্মম নির্যাতন
কক্সবাজারের উখিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ছৈয়দ আহমদ (১৭) নামের ওই কিশোরকে রাতভর বেঁধে মারধর, গলায় জুতার মালা এবং মাটি কাটার কোদাল দিয়ে মাথার চুল উপড়ে ফেলা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং পশ্চিম সোনার পাড়া মোনাফ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
কিশোর নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি।
নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমদ পশ্চিম সোনার পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমদ একজন দোকানদার। মুহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির গরু চুরির অভিযোগে তাকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। যে গরুটি চুরির অভিযোগ করা হয় সে গরুটি মুহাম্মদের বাড়িতেই ছিল। ছৈয়দকে মারধর না করতে অনুরোধ করি। কিন্তু কেউ তা মানেনি।’
তিনি জানান, বাকবিতণ্ডার পর আমি বাড়িতে চলে আসি। শনিবার সকালে খবর পাই, কোদাল দিয়ে ছৈয়দের মাথা মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাতভর মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এমন একটি ভিডিও হাতে আসে আমার। এরপর গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) জাহাঙ্গীর ও আবু সিদ্দিককে সাথে নিয়ে মুহাম্মদের বাড়ি থেকে শনিবার সকালে ছৈয়দ আহমদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’
অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় যাতে আর কোন সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে সর্তক করার জন্য এমনটি করেছেন।
আজ রবিবার বিকালে উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ মঞ্জুর মোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘটনার খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। নির্যাতনের শিকার কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। কিশোর ছৈয়দের পরিবারকে থানায় মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments