সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার ভারতে নারী পাচার চক্রের ৫ সদস্য

ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই চক্রটি অন্তত ২০ জন নারীকে প্রতিবেশী দেশটিতে পাচার করেছে বলে সিআইডি জানতে পেরেছে।

ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই চক্রটি অন্তত ২০ জন নারীকে প্রতিবেশী দেশটিতে পাচার করেছে বলে সিআইডি জানতে পেরেছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ জন হলেন: মো. শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ, আক্তারুল ও মো. বাবলু।

পাচার প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়ে রেজাউল হায়দার জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের গাড়িতে করে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেত শাহীন। এই নারীদের যশোর সীমান্ত এলাকায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে রাখা হতো। রফিকুলের সহযোগী বিপ্লব সেখান থেকে সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিত। পাচারের জন্য সেখান থেকে নৌকায় পারাপারের কাজ করতেন বাবলু।

'আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, এপর্যন্ত তার অন্তত ২০ নারী ভারতে পাচার করেছে এই চক্রটি। তারা নারীদের মালয়েশিয়া ও ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের রাজকোট এলাকায় পাচার করছিল।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চেতনা নাশক ইনজেকশন দেওয়া হতো। সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের শারীরিক নির্যাতন করা হতো।

সিআইডি জানায়, এই চক্রের মুল হোতা জান্নাতুল ওরফে জেরিন ও মহসিনুজ্জামান ওরফে প্রতীক ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবু। তারা ঢাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা ভারতের দালালদের কাছে নারীদের বিক্রি করতেন।

মানব পাচারের কথা স্বীকার করে চক্রের হোতা জান্নাতুল ও প্রতীক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের এই পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago