খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ: আদালতে ৬ আসামির জবানবন্দি
খাগড়াছড়িতে চাকমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় আটক সাত জন অপরাধীর মধ্যে ছয় জন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমবার খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, খাগড়াছড়ি আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ১৬৪ এর অধীনে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গতকাল দুপুর তিনটা থেকে রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
তিনি বলেন, ‘তবে, মূল সন্দেহভাজন আসামি গ্রেপ্তার হওয়া মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিন এখনো ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। আমরা আদালতের কাছে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি।’
আদালত আসামি আমিনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন বলেও জানান ওসি।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলার বলপিয়ে আদাম এলাকায় বাড়ির দরজা ভেঙে নয়জন মধ্যযুগীয় কায়দায় এক চাকমা নারীকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েকে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে ধর্ষকরা ওই নারীর মাকেও মারধর করে।
তারা নয় জন মিলে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের পর ওই বাড়িতে লুটপাট চালায় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিন (৪০), মো. বেলাল হোসেন (২৩), মো. ইকবাল হোসেন (২১), মো. আব্দুল হালিম (২৮), মো. শাহিন মিয়া (১৯), মো. অন্তর (২০) এবং মো আব্দুর রশিদ ( ৩৭)।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণকারীরা খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাসিন্দা।
ধর্ষকদের সবার আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে এবং জেলখানায় একে অপরের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয় বলে জানান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ।
ভুক্তভোগীর মা জানান, ২০০৫ সালে ভাইকে এবং ২০০৬ সালে বাবকে হারানোর পর থেকে তার মেয়ে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিলেন।
Comments