‘কীভাবে ক্রিকেট পছন্দ না করতে পারেন?’

লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচের পাল্লা ঝুঁকে ছিল বেঙ্গালুরুর দিকে। শেষ চার ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৮০ রান। তবে কিশান ও পোলার্ড ঝড় তুলে কঠিন এই সমীকরণও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিলেন।
rcb
ছবি: আইপিএল টুইটার

স্কোরবোর্ডে ২০১ রান তুলে নির্ভার থাকারই কথা। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন লক্ষ্য তাড়ায় দ্বাদশ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে মাত্র ৭৮ রানে। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আর টি-টোয়েন্টির রমরমা যুগে যেকোনো মুহূর্তে ব্যাটসম্যানদের বিধ্বংসী হয়ে ওঠার নজির তো কম নেই।

সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে ঘটেছে তা-ই। সুপার ওভারে গড়ানো লড়াইয়ে ছোট-বড় তারকাদের ধুন্ধুমার ব্যাটিং উপভোগ করেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। শুধু ভক্তরা বললে অবশ্য ভুল হবে। ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে সাবেক আর বর্তমান খেলোয়াড়রাও হয়েছেন বিস্মিত, রোমাঞ্চিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোফরা আর্চার যেমন টুইট করেছেন, ‘কীভাবে আপনি ক্রিকেট পছন্দ না করতে পারেন?’

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে দেবদূত পাদিক্কাল, অ্যারন ফিঞ্চ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত ফিফটিতে ৩ উইকেটে ২০১ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাবে ৫ উইকেটে ২০১ রানে থামে মুম্বাই। ইশান কিশান সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে ফেরেন ৫৮ বলে ৯৯ রানে। কাইরন পোলার্ড অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৬০ রানে। এরপর সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।

নবদীপ সাইনির ওভারে পোলার্ডের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে মুম্বাই। জসপ্রিত বুমরাহর ওভারের শেষ ডেলিভারিতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স।

mi
ছবি: আইপিএল টুইটার

লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচের পাল্লা ঝুঁকে ছিল বেঙ্গালুরুর দিকে। শেষ চার ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৮০ রান। তবে কিশান ও পোলার্ড ঝড় তুলে কঠিন এই সমীকরণও প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিলেন। শেষ ওভারে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দরকার ছিল ১৯ রান। তারা নিতে পারে ১৮ রান। কিশান টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সাজঘরে ফেরার পর শেষ বলে চার মেরে খেলা সুপার ওভারে নেন পোলার্ড।

ম্যাচ টাই হওয়ার পর ও সুপার ওভারের শেষে টুইটারে নিজেদের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। রুদ্ধশ্বাস ক্রিকেটীয় লড়াই উপহার দেওয়ার দুই মূল কারিগর কিশান ও পোলার্ডকে ট্যাগ করে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘(আমি) নির্বাক।’

আইপিএলের আগের ম্যাচে ২২৩ রান তুলেও হেরেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রতিযগিতাটির ইতিহাসে রান তাড়ার রেকর্ড গড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। টানা দুই ম্যাচে এমন অবিশ্বাস্য ফল দেখে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের টুইট, ‘ওয়াও, কতটা (রান) যথেষ্ট! কতটা (রান) নিরাপদ! ইশান কিশান! ছোট্ট মানুষ, বিশাল জোর! পোলার্ড! (ব্যাটিং) অর্ডারের আরও উপরে যাও!’

ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘চলে এসো ভারত... অন্য কোথাও যেও না, এটা আইপিএল... সিট বেল্ট বেঁধে নাও…’

বোলারদের নাকানিচোবানি খাওয়ার ম্যাচে আলাদা করে নজর কেড়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় স্পিনার চার ওভারের কোটা পূরণ করে ১ উইকেট নিতে দেন মোটে ১২ রান। তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ধারাভাষ্যকার ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার সাইমন ডুল, ‘খেলায় ৪০০ রান হয়েছে আর সে কিনা ১২ রানে ১ উইকেট পেয়েছে... নিশ্চিতভাবেই ম্যাচসেরা।’

ভারতের সাবেক আগ্রাসী ওপেনার বিরেন্দর শেবাগের টুইট, ‘২০২০ সালের সেরা গিফট হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ।’

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago