তিস্তার ভাঙনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস, হুমকিতে বসতভিটা, ফসলি জমি

তিস্তার ভাঙনের কবলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোর্বধান এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নদীর পানি কমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে ধস শুরু হয় বাঁধটিতে। মুহূর্তে বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার নদীতে চলে যায়।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টায় গ্রামবাসী। ছবি: এস দিলীপ রায়

তিস্তার ভাঙনের কবলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোর্বধান এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নদীর পানি কমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে ধস শুরু হয় বাঁধটিতে। মুহূর্তে বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার নদীতে চলে যায়।

এতে হুমকিতে পড়েছে বাঁধের ভাটিতে এক হাজারের বেশি বসতভিটা ও কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তা নদীর বাম তীরের ভাঙন ও বন্যা থেকে রক্ষায় ২০০৩-২০০৪ সালে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধান এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত বছর কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিলে চলতি বছরে সংস্কার শুরু করে। সেই সংস্কার কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আজ সকাল থেকে হঠাৎ ভাঙনের কবলে পড়ে বাঁধটি। গ্রামবাসী নিজেদের চেষ্টায় বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কিছু জিও ব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের মাধ্যমে বালু ভরে ভাঙনকবলিত স্থানে ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী দ্য ডেইই স্টারকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। বাঁধে ভাঙন অব্যাহত থাকায় গ্রামবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রামবাসীকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে।

যে কোন উপায়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি রক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Khagrachhari violence leaves 3 dead

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

3h ago