জাহালমের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রায় দুপুরে

নির্দোষ পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুলের আজ দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা করবেন আদালত। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তারিখ নির্ধারণ করেন।
jahalam photo
বিনা অপরাধে তিনবছর কারাভোগ করেন নির্দোষ পাটকল শ্রমিক জাহালম। ছবি: স্টার

নির্দোষ পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুলের আজ দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা করবেন আদালত। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তারিখ নির্ধারণ করেন।

২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ব্যবসায়ী আবু সালেক সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২৬টিতে জাহালমকে আসামি আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আবু সালেকের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায়। দুদক সে অনুযায়ী সমন জারি করে। দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে জাহালম বলেন, তিনি সালেক নন। বাংলায় লিখতে পারলেও ইংরেজিতে লিখতে জানেন না। ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের এসব মামলায় জাহালম গ্রেপ্তার হন। তিন বছর কারাভোগ করেন জাহালম।

জাহালমের মুক্তি ও ক্ষতিপূরণ বিষয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুল ও আদেশ দেন। ৩ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম। ওই বেঞ্চে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

আদালত বলেন, ‘ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় কত জন ব্যাংক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে? আমরা সব দেখবো। দুদক যখন জানতে পারল জাহালম নির্দোষ, তখন তার জামিন করানো উচিত ছিল। এর দায় দুদককে নিতেই হবে।’

এ মামলায় দুদকের পক্ষে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম। তার উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘দুদককে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সুপারিশের মধ্যে না থেকে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুদক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। দুদক সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হোক, তা আমরা চাই না। কিন্তু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আগে দুর্নীতিবাজদের মানুষ ঘৃণা করতো। আমাদের নৈতিক অধঃপতন হয়েছে।’

Comments