সংঘবদ্ধ ধর্ষণে দলিত তরুণীর মৃত্যু: ফুঁসছে ভারত, দ্রুত বিচারের নির্দেশ মোদির

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দলিত তরুণীর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত।
ধর্ষণের শিকার দলিত নারীর মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি। আজ বুধবার ছবিটি তোলা।- এপি

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দলিত তরুণীর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, হাথরাসে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের

সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে করার নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়াও হাথরাসের ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদিত্যনাথ।

এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১২টায় উত্তর প্রদেশের হাথরাসের বুলগাড়ি গ্রামে ওই তরুণীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ তার মরদেহ সৎকার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুলগাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯ বছর বয়সী ওই দলিত তরুণীর মরদেহ নিয়ে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছালে

সেখানে বিতর্ক বাধে। গভীর রাতে মরদেহ সৎকারের রেওয়াজ নেই বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসী মরদেহ তরুণীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সৎকারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে অ্যাম্বুলেন্সের পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

তবে, বুধবার ভোরে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাথরাসের এসপি বিক্রান্ত

বীর। নিহত তরুণীর বাবা ও দাদা মরদেহ সৎকারের অনুমতি দেন বলে জানান তিনি। শেষ পর্যন্ত গ্রামের শ্মশানে মরদেহ সৎকার করা হয়।

এসপি জানান, গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষিত হন ১৯ বছরের দলিত এক তরুণী। তাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছিল।

দেহের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল, জিহ্বাও কেটে ফেলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ভাই বিবিসিকে জানান, ঘটনার পর ১০ দিন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। তার বোনকে

মৃত্যুর মুখে ফেলে রাখা হয়েছিল। সে ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছে।

নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, অপরাধীরা সবসময়ই ওই এলাকার দলিত নারীদের হয়রানি করতো।

দলিত তরুণীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ন্যায়বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago