তুরস্কের ‘যুদ্ধংদেহী’ বক্তব্যের সমালোচনা ফরাসী প্রেসিডেন্টের
তুরস্কের ‘যুদ্ধংদেহী’ বক্তব্য আজারবাইজানকে নাগর্নো-কারাবাখ আবার দখল করতে উত্সাহিত করছে এবং এটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে, আর্মেনিয়ার সঙ্গে চলমান এই সংঘাতে তুরস্কের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই বলে আজ বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে।
ককেশাসে আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন এলাকা নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে গত রোববার আর্মেনিয়ার সেনাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায় আজারবাইজান। এ পর্যন্ত এতে দুই পক্ষের শতাধিক সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
তুরস্কের সঙ্গে আজারবাইজানের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক মিল আছে এবং আজেরি বাহিনীকে আঙ্কারা সমর্থন দিচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে।
লাটভিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাখোঁ বলেন, ‘আজারবাইজানের পক্ষে তুরস্কের রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো উল্লেখ করে আমি বলছি—এসব মেনে নেওয়া যায় না এবং বিপজ্জনক।’
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স তুরস্কের যুদ্ধ বিষয়ক বক্তব্য নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এগুলো নাগর্নো-কারাবাখ পুনরুদ্ধারে আজারবাইজানকে বাধাহীনভাবে যেকোনো কিছু করতে উৎসাহ দেয়। আমরা এসব মেনে নেব না।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সোমবার আজারবাইজানকে সমস্যা ‘নিজের হাতে’ সমাধানের জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের সব কিছু দিয়ে...আজারবাইজানের সঙ্গে লড়াইয়ে পাশে থাকবে।’
গতকাল আর্মেনিয়ার আকাশ সীমায় তুর্কি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান আর্মেনিয়ার একটি এসইউ-২৫ কে ভূপাতিত করে এবং এতে পাইলট নিহত হন বলে অভিযোগ তুলেছে আর্মেনিয়া।
যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার আর্মেনিয়ার দাবিকে তুরস্কের অস্বীকার করা সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ওই অঞ্চলের দেশগুলোর এতে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। তবে, সত্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দুরদর্শী থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এবং বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন:
Comments