হাথরাসে যাওয়ার পথে আটক রাহুল ও প্রিয়াংকা গান্ধী, লাঠিচার্জের অভিযোগ
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে যাওয়ার পথে ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দলিত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লি থেকে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘হাথরাসে যাওয়ার পথে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। রাহুলের সঙ্গে যখন পায়ে হেঁটে সেখানে রওনা হই তখনও আমাদের বারবার থামানো হয়েছে, লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফসোস, হাথরাসের দলিত তরুণীর নিরাপত্তায় এই লাঠি ছিল না।’
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দলিত তরুণীর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় উত্তর প্রদেশের হাথরাসের বুলগাড়ি গ্রামে ওই তরুণীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ তার মরদেহ সৎকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার, হাথরাস থেকে ১৪২ কিলোমিটার দূরে গাড়ি আটকানোর পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পায়ে হেঁটে যেতেও বাধা দিলে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন।
এসময় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করে আমাকে মাটিতে ফেলেছে। আমি জানতে চাই, কেবল মোদিজিই কি এই দেশে চলাফেরা করতে পারবেন? একজন সাধারণ মানুষ হাঁটতে পারবেন না? আমাদের গাড়ি থামানো হয়েছিল, এরপরেই আমরা হাঁটা শুরু করি।’
কংগ্রেস নেতাকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই সমাবেশ ও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যারিকেড বসায় ইউপি প্রশাসন।
১৯ বছরের দলিত তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় হাথরাসের জেলা প্রশাসন ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বুলগাড়ি গ্রামে গণমাধ্যম কর্মীসহ সব ‘বহিরাগত’ প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
রাহুল ও কংগ্রেস সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীকে মাটিতে ফেলে তার উপরে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
Comments