উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় লেভানদভস্কি

ছবি: রয়টার্স

২০১৯-২০ মৌসুমের ইউরোপের বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদভস্কি। সতীর্থ ম্যানুয়েল নয়ার ও ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলেন পোল্যান্ডের এ ফরোয়ার্ড। পাশাপাশি বর্ষসেরা ফরোয়ার্ডের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। আর বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন চেলসির পেরনিলে হার্ডার।

সুইজারল্যান্ডের নিয়ঁতে বৃহস্পতিবার রাতে (১ অক্টোবর) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল এথেন্সে। কিন্তু করোনাভাইরাসের উদ্বেগের কারণে সরিয়ে নিয়ঁতে নিজেদের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যায় ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি। সেখানেই গত মৌসুমের সেরা তারকাদের নাম ঘোষণা করে উয়েফা।

বায়ার্নের জার্সিতে গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে লেভানদভস্কির। ৩২ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৫৫টি। জার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে গোল করেছেন ১৫টি। সিঙ্গেল লেগের আসর না হলে হয়তো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর এক আসরে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ডটি ভেঙে ফেলতেও পারতেন।

উয়েফার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করতে পারেননি লেভানদভস্কি, 'আমি বলে চাই এটা অসাধারণ ব্যাপার। সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার। যদি আপনি অনেক কঠিন পরিশ্রম করেন তাহলে এ ধরণের পুরস্কার জিততে পারবেন। এটা সত্যি বিশেষ কিছু। আমি সবসময়ই বড় ক্লাবে বড় স্টেডিয়ামে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ এবং অনেক গর্বিত। অনেক খুশী।'

প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার হওয়ার পর কাছে মানুষদের ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি এ পোলিশ তারকা, 'আমি আমার সতীর্থ, কোচ এবং সকল স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাকে প্রস্তুত করার জন্য অনেক শ্রম দিয়েছে। আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা সব সময়ে আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে।'

সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড: দিদিয়ার দ্রগবা

ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড়: রবার্ট লেভানদভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ)।

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়: পেরনিলে হার্ডার (উলফবুর্গ)।

ইউরোপের বর্ষসেরা কোচ: হ্যান্সি ফ্লিক (বায়ার্ন মিউনিখ)।

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী দলের কোচ: জিয়ান লুক ভাসেউর (অলিম্পিক লিঁও)।

ইউরোপের বর্ষসেরা গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল নয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ)।

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী গোলরক্ষক: সারা বৌহাদ্দি (লিঁও)।

ইউরোপের বর্ষসেরা ডিফেন্ডার: ইয়সুয়া কিমিখ (বায়ার্ন মিউনিখ)।

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী ডিফেন্ডার: ওয়েন্ডি রেনার্দ (লিঁও)।

ইউরোপের বর্ষসেরা মিডফিল্ডার: কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি)।

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী মিডফিল্ডার: ডিসেনিফার মারজসান (লিঁও)

ইউরোপের বর্ষসেরা ফরোয়ার্ড: রবার্ট লেভানদভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ)। 

ইউরোপের বর্ষসেরা নারী ফরোয়ার্ড: পেরনিলে হার্ডার (উলফবুর্গ)।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago