কুতুপালং ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় দুই জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। গতকাল শনিবার রাতে কুতুপালংয়ের ২ ও ৩ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় দুই জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। গতকাল শনিবার রাতে কুতুপালংয়ের ২ ও ৩ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা।

তিনি জানান, পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

রোহিঙ্গা শিবিরের একাধিক সূত্র ও রোহিঙ্গা মাঝি হাফেজ জালাল আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, শনিবার দিনগত রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রথম দফায় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে দুই দল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর মধ্যে। এতে দুই সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। নিহত দুই সন্ত্রাসী হলেন— সৈয়দ হোসেনের পুত্র ইমাম শরীফ (৩২) ও মোহাম্মদ ইউনুসের পুত্র সামসুল আলম (৪৩)।

এ ঘটনার পর আজ সকাল ৮টার দিকে আবার দ্বিতীয় দফা গোলাগুলি, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে সাতটি ঘর পুড়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন রোহিঙ্গা। তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মদ সনজুর মোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় নিহত দুই রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুতুপালংয়ের তিন নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সমিরা আক্তার (৪১) নামে এক নারী। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন সাত জন রোহিঙ্গা।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

1h ago