প্রতিবাদের পরই গ্রেপ্তার হলো শিশু ধর্ষণ মামলার ২ আসামি

সিলেট সদর উপজেলার সরদারেরগাঁও এলাকায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় গতকাল শনিবার মানববন্ধনে প্রতিবাদ করে সাতদিনের আলটিমেটাম দেন বিশিষ্টজনেরা।
সাতদিনে আসামি গ্রেপ্তার না হলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় ঘেরাও করে প্রতিবাদ করা হবে— এমন আলটিমেটামের পরই মামলার দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ভোরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম।
এ ঘটনা ঘামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত থাকা স্থানীয় চার জনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে বাথরুমে যাওয়া জন্য ঘর থেকে বের হলে ওই শিশুকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসামি এ আসামি। সে সময় অপর আসামি তাকে সহযোগিতা করে।
ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী চার জন ভুক্তভোগী শিশুর বাবাকে ডেকে বিষয়টি সালিশে সুরাহা করে দেওয়া হবে মামলা না করতে বলেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো সালিশ সুরাহা না হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
তবে, এরপর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা শিশুটির মৎসজীবী-দরিদ্র এবং নিম্নবর্ণের হিন্দু পিতাকে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে যৌথভাবে মানববন্ধন আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
সে সময় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ মানববন্ধন থেকেই শিশুটির ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে সাতদিনের আলটিমেটাম জানানো হয়।
Comments