ওকালতনামা, জামিননামা ও স্বাক্ষর জালিয়াতি

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

ওকালতনামা, হাজিরা, জামিননামাসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহমেদ রবিনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ওকালতনামা, হাজিরা, জামিননামাসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহমেদ রবিনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার চাঁদমারী এলাকার আদালতপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সেটা আমি হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রবিন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আরও একজন পালিয়ে যান। তিনি রবিনের মালিকানাধীন ‘প্রমিস কম্পিউটার’ দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওকালতনামা, হাজিরা ও জামিননামা জালিয়াতির অভিযোগে রবিনকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় আরও একজন পালিয়ে গেছে। তারা নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় নিজেদের তৈরিকৃত ওকালতনামা, হাজিরা ও জামিননামা বিক্রি করতো। এ ছাড়াও, তাদের কাছ থেকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির ভুয়া সিল স্বাক্ষরযুক্ত ৫০টি ওকালতনামা, কোর্ট ফি উদ্ধার করা হয়। জালিয়াতি করা কাগজপত্র বিক্রির নগদ ৮ হাজার ৫০০ টাকাও জব্দ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রবিন ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে ওকালতনামা, হাজিরা ও জামিননামাসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ পাচ্ছিলাম। বিষয়টি যাচাইয়ে আজ একজনকে দিয়ে এগুলো কিনে আনি। তারপরই এ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়।’

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় রবিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে, তার সহযোগী শুভ পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আগামীকাল রবিনকে আদালতে পাঠানো হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago