সাভারে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় মামলা
সাভারে আশুলিয়ার ভাদাইলে এক কিশোরী (১৮) শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কিশোর গ্যাং নেতা সারুখসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক জানান, গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মহিষখোলা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে সারুখ (১৮), আল আমিন ওরফে সাধু মার্কেট আল আমিন (১৯), গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ডায়মন্ড আল আমিন (১৮), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার প্রতাববিষু গ্রামের আনছার আলির ছেলে জাকির হোসেন (১৮), ভাদাইল এলাকার দেলু হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান (১৯), ভাদাইল এলাকার আক্কাস আলী মার্কেট এলাকার বাদশা (১৮), ভাদাইলের পবনারটেক ক্লাবের জাকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া জিহাদ (২০), ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার স্বরব আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে গরু আল আমিন, আলুর মার্কেট এলাকার করম আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে বাটা আল আমিন (১৯), ভাদাইলের সাধু মার্কেট এলাকার মান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজালালের ছেলে শাকিল (১৯)।
ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি সারুখসহ জাকির ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সন্দেহভাজন হিসেবে গতকাল মোট চার জনকে আটক করা হলেও রাকিব হোসেন নামের একজনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল গুলিয়ারচর এলাকায় ওই কিশোরী তার প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ও বান্ধবীসহ মোট চার জন ঘুরতে যায়। পথে মামলার আসামিরা তাদের আটক করে মারধর করে। পরে ওই কিশোরীকে কিছু দূরে একটি হাউজিং প্রকল্পের নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত তিন দিন আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ পেলে পুলিশ নিজ উদ্যোগে তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: যেভাবে প্রকাশ্যে আসে সাভারের কিশোর গ্যাংয়ের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
সাভারে ২ বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর গ্যাং সদস্য আটক
Comments