স্পেনকেই বেছে নিলেন ত্রাওরে
জন্ম ও বেড়ে ওঠা দুটোই স্পেনে। এমনকি বয়সভিত্তিক দলে বরাবরই খেলেছেন স্পেনের হয়ে। কিন্তু মা-বাবা দুই জনই মালির। জীবিকার তাগিদে নিজ দেশ ছেড়ে এসেছিলেন স্পেনে। তাতেই যত বিপত্তি। আদামা ত্রাওরেকে চেয়েছিল মালিও। তাকে রেখে স্কোয়াডও ঘোষণা করেছিল তারা। তাতে সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শেষ পর্যন্ত কোন দল বেছে নেন এ তরুণ। শেষ পর্যন্ত স্পেন জাতীয় দলকেই বেছে নিয়েছেন এ উলভারহ্যাম্পটন তারকা।
সপ্তাহ খানেক ত্রাওরেকে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করে স্পেন। তার দুই দিন পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে মালিও তাদের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করে। তখন থেকেই নানা কানাঘুষা। স্পেনের হয়ে বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর সিনিয়র পর্যায়ে অন্য কোনো দলে খেলতে হলে ফিফার অনুমতি নিতে হয়। ত্রাওরে কি সেটা নিয়েছিলেন কি-না নিয়েও নানা গুঞ্জন। তবে আগের দিন মাঠে নেমেই সব গুঞ্জন উড়িয়ে এ তরুণ।
উলভসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত আছেন ত্রাওরে। তখন থেকেই সবার সবার নজরে আসেন তিনি। মালির টনকও তখনই নড়ে। সেই থেকেই তাকে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু কিছুতেই ত্রাওরের মন গলাতে পারেনি তারা। পিতৃভূমির চেয়ে জন্মভূমির টানই বেশি অনুভব করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্পেনের হয়েই সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেক হয় তার। আগের দিন পর্তুগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৬২তম মিনিটে সের্জিও বুসকেতসের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ২৪ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ৮০৫তম খেলোয়াড় ত্রাওরে। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর ২১তম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয় তার। বয়সভিত্তিক দলে অবশ্য ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিপক্ষে স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলে হয়ে অভিষেক হয় ত্রাওরের।
হসপিতালেত ক্লাবের হয়ে শুরু করলেও পরে বার্সেলোনার একাডেমী লা মাসিয়ায় যোগ দেন ত্রাওরে। উত্থানটার দেখান থেকেই। ২০১৫ সালে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেওয়ার আগে বার্সার হয়ে সিনিয়র দলেও খেলেছেন। পরে স্পেনের বয়স ভিত্তিক দলে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। গত মাসেই স্পেন দলে ডাক পেয়েছিলেন। নেশন্স লিগে জার্মানি ও ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে তাকে দলে নিয়েছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। কিন্তু পরে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় দল থেকে সরে যেতে হয় তাকে।
Comments