রিয়াল মাদ্রিদের উপরও গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন সেই হ্যাকার!
রুই পিন্টো নামটা চেনা চেনা ঠেকছে?
২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন নামিদামি ফুটবল ক্লাব থেকে শুরু করে বড় বড় সংস্থার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছিলেন পর্তুগালের এই হ্যাকার। তাকে খুঁজে বের করতে প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের। অবশেষে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাকে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি নিজ দেশের একটি কারাগারে বন্দি আছেন।
সেই পিন্টো নাকি স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের উপরও গুপ্তচরবৃত্তি করেছিলেন! সম্প্রতি এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পর্তুগিজ গণমাধ্যম কোরেইয়ো দা মানহা।
তারা বলেছে, সাইবার-অপরাধে অভিযুক্ত পিন্টোর ‘অন্যতম টার্গেট’ ছিল রিয়াল। তিনি অবৈধভাবে দলটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়-ব্যয়ের হিসাব, ই-মেইল, বিভিন্ন নথি ও খেলোয়াড়দের চুক্তিপত্র। এ কাজের জন্য তিনি একটি ভার্চুয়াল সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেন। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে যে ১২টি ডিস্ক জব্দ করা হয়েছিল, সেগুলোর একটিতে রিয়ালের বিভিন্ন গোপন ও প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া গেছে।
কোরেইয়ো দা মানহা আরও জানিয়েছে, পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন ও ফ্রান্সের দোয়েন স্পোর্টস এজেন্সিও পিন্টোর হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। তবে এসবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নভেম্বরে জার্মান সংবাদপত্র ‘ডার স্পিগেল’ তাদের একটি প্রতিবেদনে কিছু গোপন নথি প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে ‘ডার স্পিগেল’ নিজেরা অনুসন্ধান করে সেসব তথ্য পায়নি। তাদেরকে ই-মেইল করে গোপন নথিগুলো পাঠিয়েছিলেন ‘জন’ নামের একজন। সেই ‘জন’ই হলেন পিন্টো। এরপর ইংলিশ ক্লাবটিকে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে দুই মৌসুমের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস) কোনো অনিয়ম খুঁজে না পাওয়ায় অবশ্য নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পায় তারা।
তারকা ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা। ২০০৯ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যদিও ঘটনার পর মায়োরগার আইনজীবী ও রোনালদোর মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণও দিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। তবে পিন্টোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে ‘ডার স্পিগেল’ ২০১৮ সালেই সংবাদ প্রকাশ করেছিল। এরপর হয় মামলাও। আর বিশ্বজুড়ে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন চলাকালে নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহসও দেখিয়েছিলেন মায়োরগা। কিন্তু ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় রোনালদোকে মুক্তি দেওয়া হয় মামলা থেকে।
Comments