বিনে পয়সায় দলে ভেড়ানো যাবে মেসি-রামোসদের
বর্তমান সময়ের সেরা কিছু তারকার নাম যদি উল্লেখ করতে যান, তাহলে সবার আগেই আসবে লিওনেল মেসির নাম। অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের কথা ভাবতে গেলেই থাকবেন সের্জিও রামোস। আবার মিডফিল্ডার বেছে নিতে গেলে পল পগবা, আনহেল দি মারিয়া ও লুকা মদ্রিচদের তালিকায় রাখতে হবে। তেমনি ফরোয়ার্ড হিসেবে সের্জিও আগুয়েরো কিংবা গোলরক্ষক হিসেবে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা আসবেনই। আর চাইলেই কেউ এসব তারকাদের বিনে পয়সায় নিজের দলে ভেড়াতে পারবেন।
তালিকায় যে শুধু ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে চলে আসা তারকারাই রয়েছেন এমনটা নয়। এরিক গার্সিয়া, মেমফিস দিপাই, রিকি পুচদের মতো তরুণ খেলোয়াড়রাও আছেন।
বিস্ময়কর ঠেকলেও গোটা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ সত্যি। নিজ নিজ ক্লাবের সঙ্গে তাদের সকলের চুক্তির মেয়াদ বাকি আছে আর এক বছর। অর্থাৎ আগামী মৌসুমেই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাচ্ছেন অনেক নামিদামি তারকা, যদি না এর মধ্যে তাদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে ক্লাবগুলো। হয়তো কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে নতুন চুক্তি হতে পারে। তবে তারকা খেলোয়াড়দের বড় একটা অংশ আগামী গ্রীষ্মে বিনে পয়সায় দল পরিবর্তন করতে পারেন।
আগামী মৌসুমে যে সকল খেলোয়াড় ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দল পরিবর্তন করতে পারেন, তাদের মধ্যে সেরা ২০ জনের তালিকা তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য:
লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
নতুন মৌসুম শুরুর আগেই দল ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো আটকে রাখে তাকে। নানা জটিলতায় তাই বাধ্য হয়েই থেকে যেতে হয় বার্সেলোনাতে। কিন্তু আগামী মৌসুমে নতুন কোনো ক্লাবে দেখা যেতে পারে তাকে। সম্ভাব্য দল হিসেবে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি আছে সবার উপরে। অবশ্য বিনে পয়সায় মেসিকে নেওয়ার সুযোগ থাকায় আগামী মৌসুমে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সের্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরাই তিনি। তাকে ছাড়া মাদ্রিদের এ ক্লাবটির কথা ভাবতেই পারেন না সমর্থকরা। কিন্তু আগামী গ্রীষ্মেই রিয়ালের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ ফুরচ্ছে। এখনও নতুন কোনো চুক্তির আওয়াজ মেলেনি। যদিও বিচ্ছিন্নভাবে নতুন চুক্তির সংবাদ উঠেছিল গণমাধ্যমে। কিন্তু এখনও তা হয়নি। অবশ্য তাকে ছাড়তে রাজি নয় লস ব্লাঙ্কোসরা। রামোসও ক্লাবে থাকতে আগ্রহী। নতুন চুক্তিটা হয়তো সময়ের ব্যাপারই মাত্র। কিন্তু চমকপ্রদ কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও থেকেই যাচ্ছে।
পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
গত দুই মৌসুম জুড়ে তার দলবদলের গুঞ্জন চড়া। কখনো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া, আবার কখনো জুভেন্টাসে ফেরা নিয়ে। তবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে তেমন আলোচনাও নেই। আগামী মৌসুমে হয়তো ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তিনি যোগ দিতে পারেন জিনেদিন জিদানের ডেরায়।
ডেভিড আলাবা (বায়ার্ন মিউনিখ)
বায়ার্ন মিউনিখের অপরিহার্য খেলোয়াড় ডেভিড আলাবা। চুক্তি নবায়নের বেশ কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু বেতন-ভাতা সংক্রান্ত ঝামেলায় সেসব পূর্ণতা পায়নি। চলতি মৌসুমে তাই তাকে বেচে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের প্রস্তাবও গ্রহণ করেছিল ক্লাবটি। কিন্তু আলাবা থেকে গেছেন পুরনো ঠিকানাতেই। আর্সেনাল, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাব তাকে পেতে চেয়েছিল।
জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (এসি মিলান)
বয়সটা মাত্র ২১। এর মধ্যেই ক্লাবের হয়ে ২০০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ইতালি জাতীয় দলের প্রধান গোলরক্ষকের জায়গাও তার পাকা। স্বাভাবিকভাবেই এসি মিলান তাকে ছাড়তে রাজি নয়। কিন্তু নিজের বেতন-ভাতা বাড়াতে চাইছেন দোন্নারুমা। যে কারণে নতুন কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। আগামী মৌসুমে তাই কাঙ্ক্ষিত বেতনে নতুন কোনো ক্লাবে দেখা যেতে পারে।
সের্জিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি)
ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল তারকা এ আর্জেন্টাইন। ক্লাবের প্রাণই বলা হয় তাকে। কিন্তু বয়স তো বাড়ছে। কিছুটা হলেও হারিয়েছেন আগের সেই ক্ষুরধার ছন্দ। তার উপর একাদশে তার জায়গা নিতে মুখিয়ে আছেন ক্লাবের আরেক স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে খুব একটা আলোচনাও নেই। আগামী মৌসুমে তার দল ত্যাগ করা অসম্ভব কিছু না। তার প্রতি আগ্রহ রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবের।
মেমফিস দিপাই (অলিম্পিক লিওঁ)
দলবদলের শুরুতে আর্সেনাল বেশ চেষ্টা করেছিল। শেষ দিকে পুরোটা জুড়েই ছিল বার্সেলোনা। দিপাইও আগ্রহী ছিলেন। তার ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ ছাড়তেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তাকে কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না কাতালান ক্লাবটির। যে কারণে আরও এক মৌসুম লিওঁতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে নতুন মৌসুমে বার্সেলোনায় দেখা যেতে পারে তাকে। তাকে পেতে মুখিয়েও আছেন কোচ রোনাল্ড কোমান।
জর্জিনিও ভাইনালদাম (লিভারপুল)
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার কোচ হয়ে আসার পর শুরুতেই জর্জিনিও ভাইনালদামকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন রোনাল্ড কোমান। কিন্তু ক্লাবটি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল থিয়াগো আলকানতারাকে। শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তিই হয়নি। তবে ভাইনালদামকে পাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়নি কোমানের। অন্যদিকে, থিয়াগোকে পাওয়ায় লিভারপুল তাকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। আগামী মৌসুমে কাতালান জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে ২৯ বছর বয়সী এ ডাচ তারকাকে।
আনহেল দি মারিয়া (পিএসজি)
গত মৌসুম থেকেই অসাধারণ ছন্দে আছেন দি মারিয়া। কিন্তু প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) সঙ্গে আগামী গ্রীষ্মেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে তার। এখনও নতুন কোনো চুক্তি হয়নি। কোচ টমাস টুখেল চুক্তি নবায়নের কথা বলেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে চুক্তি নবায়নের খবর উঠে এসেছিল গণমাধ্যমেও। কিন্তু এখনও তা হয়ে ওঠেনি। তাই ক্লাব ত্যাগের শঙ্কা রয়েই যায়। চলতি মৌসুমে তাকে পেতে চেষ্টা চালিয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস।
আরকাদিয়ুস মিলিক (নাপোলি)
ছন্দে ঘাটতি নেই। কিন্তু লিলে থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে ভিক্টর ওসিমেনকে কিনে আনার পর তার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে নাপোলি। ২৬ বছর বয়সী এ তারকাকে পেতে চেষ্টা করেছিল এভারটন। মইসে কিন দল ছাড়ায় সম্ভাবনাও জোরালো ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। অবশ্য তাকে পেতে মরিয়া ছিল টটেনহ্যাম হটস্পারও। এছাড়া, ম্যান ইউনাইটেড, ম্যান সিটি ও আর্সেনালও তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী মৌসুমে হয়তো ইংলিশ লিগেই দেখা যেতে পারে তাকে।
ফ্লোরিয়ান থুভান (মার্শেই)
ট্রান্সফার উইন্ডোর পুরোটা জুড়েই তাকে পেতে চেষ্টা করেছিল ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান। কিন্তু আর্থিক লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় এখনও অলিম্পিক মার্শেইতে আছেন ফ্লোরিয়ান থুভান। অবশ্য এর আগে আরেক ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তাও চেষ্টা চালিয়েছিল। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির আগ্রহেও ছিলেন তিনি। কিন্তু মার্শেইয়ের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি কেউ। এদিকে ক্লাবটির সঙ্গে যে নতুন কোনো চুক্তি করছেন না বিশ্বকাপ জয়ী এ ফরাসি তারকা, তা এক প্রকার অনুমিত।
রিকি পুচ (বার্সেলোনা)
বার্সেলোনার নতুন কোচ কোমানের সুদৃষ্টিতে নেই রিকি পুচ। তাকে ধারে অন্য কোনো ক্লাবে যেতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু কাতালান ক্লাব ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নেই তার। কিন্তু নতুন মৌসুমে বদলে যেতে পারে পাশা। পর্যাপ্ত সুযোগ না পেলে হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হতে পারেন। এদিকে সিনিয়র দলের সঙ্গে চুক্তিও পাননি তিনি। চুক্তিটা জুনিয়র দলের সঙ্গেই। তার মেয়াদও ফুরচ্ছে আগামী মৌসুমে।
এদিসন কাভানি (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
চলতি মৌসুমেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন এদিসন কাভানি। কিন্তু চুক্তি হয়েছে মাত্র এক বছরের। অর্থাৎ আগামী মৌসুমেই ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরবে তার। তবে পারফরম্যান্স দিয়ে যদি আগুন ঝরাতে পারেন, সেক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়তে পারে। অন্যথায় আবারো নতুন ক্লাব খুঁজতে হবে তাকে। যদিও চলতি মৌসুমেও অনেক ক্লাব তাকে পেতে চেয়েছিল। কিন্তু বেতন-ভাতার দাবিটা একটু বেশি থাকায় অনেক ক্লাবই পরবর্তীতে পিছিয়ে যায়।
এরিক গার্সিয়া (ম্যানচেস্টার সিটি)
জন্ম ও বেড়ে ওঠা বার্সেলোনায়। ফুটবল ক্যারিয়ারও শুরু করেছিলেন লা মাসিয়াতেই। পেপ গার্দিওলার আগ্রহে ২০১৭ সালে কাতালান ক্লাব ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু যোগ দেওয়ার পর আর পর্যাপ্ত সুযোগ মেলেনি তার। তাই ধীরে ধীরে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন। ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি আর করেননি। ক্লাবও তাকে ছাড়তে রাজি। ফিরিয়ে নিতে চায় বার্সেলোনাও। আর্থিক ঘাটতির কারণে এ মৌসুমে হয়নি। বিনে পয়সায় হতে পারে আগামী মৌসুমে।
দিয়েগো কস্তা (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ)
বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। আর শুরুতেই অসাধারণ পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন। তাই নিজের স্থান অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে দিয়েগো কস্তার। তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে খুব একটা আগ্রহী নয় অ্যাতলেতিকো। আগামী মৌসুমে তাই নতুন কোনো ক্লাবে দেখা যেতে পারে তাকে। আর ক্লাব এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা মেনে নিতেও প্রস্তুত ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এ স্প্যানিশ তারকা।
মেসুত ওজিল (আর্সেনাল)
আগের কোচ উনাই এমেরির গুডবুকে ছিলেন না। নতুন কোচ মিকেল আরতেতা যোগ দেওয়ার পরও ভাগ্য বদলায়নি। আর্সেনালের একাদশে জায়গা হচ্ছে না মেসুত ওজিলের। এমনকি স্কোয়াডেও জায়গা মিলছে না। এদিকে তার উচ্চ বেতন পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ক্লাবটি। তাকে ছাড়তে পারলেই যেন বাঁচে তারা। তাই আগামী মৌসুমে নতুন ক্লাব খুঁজে নিতে হচ্ছেই তাকে। তবে ছন্দহীনতার জন্য এখনও সে অর্থে কোনো ক্লাব তাকে পেতে আগ্রহ দেখায়নি।
জেরোমে বোয়েটাং (বায়ার্ন মিউনিখ)
সাবেক কোচ নিকো কোভাচের সময় বর্ণহীন পারফরম্যান্সে প্রায় বাতিলের খাতায় পরে গিয়েছিলেন জেরোমে বোয়েটাং। নতুন মৌসুমে নতুন ক্লাব খুঁজতেই বলা হয়েছিল তাকে। কিন্তু কোচ বদলের সঙ্গে ভাগ্য বদলও হয়ে যায় তার। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে পারফরম্যান্সে উন্নতি হয় তার। অবশ্য তারপরও নতুন কোনো চুক্তির ব্যাপারে এখনও কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। আগামী মৌসুমে তাই নতুন ক্লাবে তাকে দেখা অসম্ভব কিছু নয়।
লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ)
২০১৮ সালের ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন লুকা মদ্রিচ। কিন্তু পরের মৌসুম থেকে আগের সে ধার যেন হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। অবশ্য বয়সও হয়েছে ৩৫। নিয়মিত একাদশে জায়গা পান না। আর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ তারকা। তাই আগামী মৌসুমে নতুন ক্লাব খুঁজতেই হচ্ছে তাকে। ইতালির এসি মিলান তাকে পেতে আগ্রহী। তবে সম্ভাবনা রয়েছে ডেভিড বেকহামের ইন্টার মিয়ামি ক্লাবেও যোগ দেওয়ার। তার উচ্চ বেতন দেওয়ার ক্ষমতা আছে তাদেরই।
হাভি মার্তিনেজ (বায়ার্ন মিউনিখ)
কদিন আগেই উয়েফা সুপার কাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই শিরোপা ঘরে তুলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু মৌসুম জুড়ে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না হাভি মার্তিনেজ। তাই তার চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না ক্লাবটি। আগামী মৌসুমে তাই নতুন ক্লাবেই দেখা যেতে পারে তাকে। সেক্ষেত্রে পুরনো ক্লাব অ্যাতলেতিকো বিলবাওতেই ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (এসি মিলান)
বয়সটা ৩৭। কিন্তু এখনও যেন তরুণ! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ফের যখন এসি মিলানে ফিরলেন, তখনই যেন বদলে যায় ক্লাবটির ভাগ্য। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন ইব্রাহিমোভিচ। তবে ক্লাবটির সঙ্গে এবার চুক্তি হয়েছে এক বছরের। ছন্দের ধারা ধরে রাখতে পারলে হয়তো নতুন চুক্তি হতে পারে। কিন্তু যেভাবে যাযাবরের মতো ক্যারিয়ার পার করেছেন, তাতে পরের মৌসুমে যে তিনি অন্য কোনো দলে যোগ দিবেন না, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না কেউ।
Comments