মানিকগঞ্জে জলাবদ্ধতা দূর করতে বালুর বস্তা ফেলছেন স্থানীয়রা

স্থানীয়দের উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জ জেলা শহরের জলাবদ্ধ এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা মিলে টাকা দিয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তার ওপর বালুর বস্তা ফেলে তা চলাচলের উপযোগী করছেন।

রিজার্ভ ট্যাংকের এক বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছিল। এলাকাবাসী চাঁদা দিয়ে একটি বাশেঁর সাঁকো তৈরি করেছিল। কিন্তু, ওই সাঁকো দিয়ে বয়স্ক মানুষ ও নারীরা চলতে পারে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই বালুর বস্তা ফেলছে বলে জানালেন ব্যক্তি উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলার কয়েকজন উদ্যোক্তা।

রিজার্ভ ট্যাংক এলাকটি মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দাশড়া মৌজায় অবস্থিত। উত্তরদিকে গার্লস স্কুল সড়ক, পশ্চিমে বেউথা সড়ক, দক্ষিণে রমজান আলী সড়ক এবং পূর্বে বাজার সড়ক ঘিরে রেখেছে এই এলাকাটি।

ওই এলাকার বাসিন্দা কাজী জুলফিকার হায়দার জুয়েল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নাগরিক সুবিধার আশায় জেলা শহরে বাড়ি করেছি। কিন্তু, জলাবদ্ধতার কারণে তিন মাস ধরে বাসা থেকে মোটরসাইকেলটি বের করতে পারছি না। জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার পর নিজেরা ২০ হাজার টাকা খরচ করে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, সেই সাঁকোর ওপর দিয়ে বয়স্ক মানুষ ও নারীরা চলতে পারে না। বয়স্ক মাকে হাসপাতালে নিতেও পারছি না। সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েই পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তার ওপর বালুর বস্তা ফেলছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বাসার বলেন, ‘পৌরসভার কেন্দ্রে অর্থাৎ শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে বাড়ি করেছি। কিন্তু, আমরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গত তিনটি মাস ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করলাম। আর এখন বালুর বস্তা ফেলছি। আমরা তো পৌর কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের কর দিচ্ছি। কিন্তু, সেবা তো পাচ্ছি না।’

গোবিন্দ দাস, বাবুল হোসেন, আইউব আজাদসহ অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলর সুভাষ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা হওয়ার পর পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, ছোট মেশিন দিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য পরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

18h ago