নোয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আদালতে আরও দুই আসামির স্বীকারোক্তি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দুই আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দুই আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই দুই আসামি হলেন- আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও রাসেল। তারা মামলার এজাহার বহির্ভূত আসামি।

আজ শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোসলে উদ্দিন মিজান ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জবানবন্দি রেকর্ডের কাজ চলছিল।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় মামলার দুই নং আসামি মো. রহিম ও এজাহার বহির্ভূত আসামি স্থানীয় একলাশপুর ইউপি মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মোস্তাক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে সোহাগ ও রাসেলকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২নং আসামি আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগেও দুই আসামি তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।’

এ দিকে, পঞ্চম দিনেও ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে মানব সেবায় নোয়াখালী জেলা কমিটি, নোয়াখালী জেলা উদ্যম ফাউন্ডেশন, মানবিক ব্লাড ফাউন্ডেশন নোয়াখালী, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চাটখিল উপজেলা ও পৌরসভা শাখা, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

গত ২সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত

১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে কুপ্রস্তাবে দিলে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা ও দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
 

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago