লালমনিরহাটে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রেনের এক কিশোরী (১৫) যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় মামলা হলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, মামলার অপর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান, গত ৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী কিশোরী লালমনিরহাটের পাটগ্রামের খালার বাড়ি থেকে ট্রেনে করে রংপুরের কাউনিয়ায় মামার বাড়ি যাচ্ছিল। ট্রেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা স্টেশনে দাঁড়ালে ওই কিশোরী নাশতা করতে নামে। সে সময় ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। ট্রেন চলে যাওয়ায় ওই কিশোরী স্টেশন প্লাটফর্মে অস্থির হয়ে পড়ে। পরে প্রধান আসামি ও অটোরিকশাচালক কিশোরীর পরিচয় জেনে নিজেকেও কাউনিয়ার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয়। তার অটোরিকশায় করে কিশোরীকে কাউনিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে অটোরিকশায় উঠিয়ে কিশোরীকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রধান আসামিসহ চার জন মিলে ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। একইসঙ্গে এ ঘটনার কথা ফাঁস করলে কিশোরীকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয়দের ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। স্থানীয়দের সহায়তায় এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ভুক্তভোগী। ৮ অক্টোবর রাতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা বৈঠকে বসে ধর্ষণকারী যুবকদের শনাক্ত করে। পরদিন ৯ অক্টোবর সকালে ওই কিশোরীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে মাতব্বররা তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে না গিয়ে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেয়। ঘটনার বর্ণনা শুনে স্থানীয় সাংবাদিকরা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পরে ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যমতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই দিন রাত ৯টার দিকে চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আজ দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
Comments