সাভারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আদালতে ২ আসামির স্বীকারোক্তি

সাভারের আশুলিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ যুবকের মধ্যে দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া, বাকি তিন জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Savar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাভারের আশুলিয়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ যুবকের মধ্যে দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া, বাকি তিন জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রশিদ গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে হাজির করেন। এ সময় তিনি তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের হামিক মো. মনিরুজ্জামান এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল (১৮) ও পাপ্পু সাহা (১৯) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া, অপর তিন আসামি অন্তর (১৯), জ্যোতির্ময় সাহা (২০) এবং মিলনের (২১) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে, গতকাল রাতে ২৩ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, মিরপুরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী গৃহবধূর সঙ্গে দেড় মাস আগে পরিচয় হয় সাইফুল ও অন্তরের। পরিচয়ের সুবাদে ওই নারী তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা বলতেন। সম্প্রতি তিনি বাসা ভাড়া দিতে পারছিলেন না। তাই গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই নারী তাদের কাছে টাকা ধার চায়। তারা ভুক্তভোগীকে আশুলিয়ার রুস্তমপুরের ডেকে আনেন এবং একটি পরিত্যক্ত এলাকায় নিয়ে আটককৃতরাসহ মোট সাত জন তাকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়াও, তারা এক হাজার টাকা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মোবাইল রেখে দেয়। পরে আবারও ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে মোবাইল দেওয়ার অজুহাতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় ডেকে আনে। পরে আবারও তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এভাবে বারবার ব্ল্যাকমেইল করলে কিছুদিন আগে তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলেন তিনি। পরে স্বামীর সহযোগিতায় আশুলিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করে। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

সাভারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৫

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago