শীর্ষ খবর

১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
স্টার ফাইল ফটো

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ সোমবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বিষয়টি জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এ বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রয় করতে পারবেন না তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িতে একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকে। এ বছর আমরা সশরীরে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্যদের সঙ্গে মাঠে থাকবো। যাতে ইলিশ উৎপাদনের সাফল্য কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বরফকল খুলতে দেয়া হবে না।’

এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না। এ সময় ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোন নৌকাকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে। যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলেও সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।’

ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করা, ইলিশ আহরণে আমাদের সাফল্যের কথা এবং কোন ক্ষেত্রে আরও কাজ করা প্রয়োজন আছে সে বিষয়গুলো গণমাধ্যম আমাদের দৃষ্টিতে এনেছে। গণমাধ্যমের সংবাদকে কেন্দ্র করে আমরা কাজ করেছি। এ কারণে ইলিশের এ সাফল্যকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে যে, আমাদের সকল মানুষ ইলিশ খেতে পারবে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হবার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির চিন্তা করবো। এই মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেদিন ইলিশ রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।’

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

Comments

The Daily Star  | English
2712 Compete for 300 Seats in national polls 2024

12th national election: 2,713 aspirants to vie for 300 seats

A total of 29 registered political parties have nominated their candidates for the election scheduled for January 7

1h ago