ঢাকার ৭৪ শতাংশ বস্তিবাসী করোনায় আক্রান্ত

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের প্রায় ৭৪ শতাংশ বস্তিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকার কড়াইল বস্তি। স্টার ফাইল ফটো

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের প্রায় ৭৪ শতাংশ বস্তিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে ৫ জুলাই এই সময়ের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণার জন্য রাজধানীর মোট তিন হাজার ২২৭টি পরিবারের মাঝে জরিপ চালানো হয়।

দ্য বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ইউএসএআইডি এই জরিপটিকে সমর্থন জানিয়েছে। গত ১০ আগস্ট এই প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত অংশ প্রকাশিত হয়েছিল।  

জরিপ চলাকালে ঢাকা শহরের ২৫ ওয়ার্ড থেকে ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৯.৮ শতাংশ মানুষের বা প্রায় প্রতি দশজনের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৪ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৫-১৯ বছরের মধ্যে।

এ সময় গবেষকরা দ্বিতীয়বার সংক্রমণের কয়েকটি ঘটনাও জানতে পারেন। তবে, সেগুলো এই গবেষণার অংশ ছিলো না।   

জরিপ অংশ নেওয়া পরিবারের মধ্যে পাঁচ শতাংশ পরিবারে এক বা একাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

এসব পরিবারের ২১১ সদস্যের করোনার উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে ১৯৯টির আর-পিসিআরে পরীক্ষা করা হয় এবং ৩০ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। বিপরীতে কোনো উপসর্গ নেই এমন ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় আট শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়।

অতিরিক্ত হিসেবে ঢাকা শহরের আরও ছয় বস্তির ৭২০টি পরিবারে জরিপ করা হয় এবং ছয় শতাংশের করোনা পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদউল্ল্যা, ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী শামসুল আরেফিন প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ।

Comments