ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০ জারির বিষয়টি জানিয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, আইনের ধারা ৯ (১) এ উল্লিখিত ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’র পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ করা হয়েছে। এর মানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এর আগে, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ধর্ষণের অপরাধে শাস্তির বিধান সংশোধন করে এই আইন সংশোধন করার প্রস্তাব অনুমোদন করে।
গতকাল সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলছে না, তাই সরকার দ্রুত আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধন সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারির প্রস্তুতি নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে একটি নির্দেশনা জারির জন্য অনুরোধ করা হবে, যেন সারাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুরাতন ধর্ষণ মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারে এবং নতুনগুলোর দ্রুত বিচার করতে পারে।’
একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয় বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে, দ্রুত বিচার কার্যকরের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এ ছাড়াও, আইন মন্ত্রণালয় ধর্ষণ মামলায় সাক্ষীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে মেসেজের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে, যাতে তারা সময়সূচী অনুযায়ী আদালতে হাজির হতে পারে।
আনিসুল হক আশা প্রকাশ করেন যে, সংশোধিত আইন কার্যকর হলেই ধর্ষণ মামলার সংখ্যা কমে আসবে।
Comments