অস্ট্রেলিয়ার দুই জাতীয় দলের পরিকল্পনা হজম হচ্ছে না ল্যাঙ্গারের
একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার এক দল খেলবে টি-টোয়েন্টি, আরেক দল টেস্ট। সূচি জট সামলাতে ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল এই কাণ্ড ঘটাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের পছন্দ হচ্ছে না এই পরিকল্পনা।
মূলত করোনাভাইরাসের কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি নিয়ে লেগেছে গোলমাল। স্থগিত হয়ে যাওয়া কিছু সিরিজকে জায়গা করতে গিয়ে সংঘর্ষ বাঁধছে ওই সময় সূচি থাকা কোন সিরিজের।
আরও পড়ুন- একই সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তে টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ড
আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৭ মার্চ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সূচি চূড়ান্ত। কিন্তু আইসিসির এফটিপিতে ওই সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার।
সিরিজটি বাতিল না করেই দুই কূল রক্ষার দিকে এগুচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের ইচ্ছা আলাদা দুই দলকে দুই দেশে পাঠানোর।
কিন্তু ল্যাঙ্গার এমন পরিকল্পনা একদমই হজম করতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম সেনকে জানিয়েছেন নিজের প্রতিক্রিয়া, ‘চেয়ারম্যান জানান, এসইএনকে জানান পরিষ্কারভাবে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, আমি এটা একেবারেই পছন্দ করছি না।’
‘আমি একই সময়ে দুটো অস্ট্রেলিয়া দল চাই না। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। হ্যাঁ বুঝতে পারছি এই বছর কোভিডের কারণে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।’
‘আমরা তো এক দেশ, তাই না? আমরা দুই দেশ তো নই। এবং খেলাটাও একই।’
তবে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা দেখা গেছে আগেও। বরং একই সংস্করণেই এক দেশের দুই জাতীয় দলকে একই সময়ে আলাদা দুই দেশে খেলতে দেখা গেছে।
১৯৩০ সালের জানুয়ারি মাসে ফ্রেডি কার্লথর্পের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলতে যায় ইংল্যান্ড। ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হ্যারল্ড গ্যালিসনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের আরেক দল টেস্ট খেলতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। দুটো দলই খেলেছিল স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচ এবং সবচেয়ে বড় কথা একই সময়ে। বিস্ময়কর এই ঘটনা ঘটে ইতিহাসে একবারই।
সম্প্রতি একই দিনে না হলেও পর পর দুই দিনে ইংল্যান্ড তাদের ভিন্ন দুই জাতীয় দল খেলিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে খেলার পরদিনই পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলতে দেখা গেছে ইংল্যান্ডকে।
তবে ল্যাঙ্গার তার দৃষ্টিকোণ থেকে এমন পরিকল্পনায় ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন বোর্ডকে, ‘কেবল কোচ হিসেবে না, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের প্রতি আবেগ থেকে আমি চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীকে আপত্তি জানিয়েছি। বলেছি আমার এটা একদম পছন্দ হলো না।’
ল্যাঙ্গারের ভাবনার জায়গা অবশ্য আরেকটি। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার দুই দল দুই দেশে গেলে ওই সময় চলা শেফিল্ড শিল্ডের মান চলে যেতে পারে পড়তির দিকে, ‘আপনি যদি কোভিডের এই সময়ে দুটি অস্ট্রেলিয়ান দল বানান, তাহলে ১৭ জন যাবে নিউজিল্যান্ডে, ১৮ জন যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৩৬ জন খেলোয়াড় শেফিল্ড শিল্ড থেকে খালি হয়ে গেল।’ ওখানে যদি চোট হয় তাহলে কী হবে, প্রশ্ন ল্যাঙ্গারের।
Comments