কবর থেকে তোলা হবে রায়হানের মরদেহ

রায়হান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা রায়হান আহমদের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এ হত্যা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান।

তিনি জানান, মামলার পর প্রাথমিকভাবে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক আব্দুল বাতেন পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন।

সেই আবেদন প্রেক্ষিতেই আজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতি প্রদান করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রদান করেছেন বলে জানান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার রায়হান হত্যা মামলার তদন্তভার কোতোয়ালী থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। রাতেই মামলার সকল নথি পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়।

আজ সকাল থেকে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার পর দুপুর ১২টার সময় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িকে ক্রাইমসিন হিসেবে ঘেরাও করে অনুসন্ধান চালায় পিবিআই।

গত রোববার ভোররাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে টাকার জন্যে নির্যাতন করা হলে ভোরে মৃত্যুবরণ করেন এক যুবক।

নিহত রায়হান আহমেদ (৩৩) নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও পরবর্তীতে পুলিশ তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করে।

এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সেদিন বিকেলে ডাক্তারের চেম্বারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কর্মরত তার স্বামী কাজে বের হয়ে যাওয়ার পর রাত ১০টা থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ভোররাত ৪টা ৩৩ মিনিটে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে রায়হান তার মাকে কল করে কথা বলেন।

ওই কলে রায়হান কাঁদতে কাঁদতে জানান, তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখেছে এবং টাকা না দিলে ছাড়বে না। এরপরই ভোর সাড়ে ৫টায় চার হাজার টাকা নিয়ে রায়হানের চাচা হাবিব উল্লাহ ফাঁড়িতে গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা তাকে সকাল ১০টার সময় ১০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলেন।

তিনি সকাল ১০টায় টাকা নিয়ে গেলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে যেতে বলা হয়। হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে এবং ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে।

মামলায় রায়হানের স্ত্রী উল্লেখ করেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনেই মৃত্যু হয়েছে রায়হানের।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

27m ago