দে গেয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন না এনরিকে

david de gea
ছবি: রয়টার্স

পরিসংখ্যানের দিকে আগে একবার নজর দিন। ৭২ শতাংশ সময়ে বল ছিল স্পেনের পায়ে। তারা ইউক্রেনের গোলমুখে শট নিয়েছে ২১টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল আটটি। কিন্তু পুরোটা ম্যাচে চালকের আসনে থাকলেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি দলটি। উল্টো গেছে হেরে। তারপরও ফরোয়ার্ডদের চেয়ে বেশি সমালোচনা শুনতে হচ্ছে গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়াকে!

কারণ, গোলপোস্টের সামনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকার অবস্থান ছিল দৃষ্টিকটু। তবে ভুলের পরও কোচ লুইস এনরিকের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ইউক্রেন। খেলার ধারার বিপরীতে শেষ দিকে স্বাগতিকদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ভিক্তর তিশানকভ।

spain and ukraine
ছবি: টুইটার

ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় ইউক্রেন। গোলরক্ষক গিওর্গি বুশ্চানের গোল কিক মাঝ মাঠে পেয়ে যান ফরোয়ার্ড আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কো। তিনি বল বাড়ান সামনে। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নেন বদলি নামা তিশানকভ। এরপর ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে স্পেনের জাল কাঁপান এই মিডফিল্ডার।

দে গেয়ার দায়ও কম নয় এই গোলে! তিনি পোস্ট ছেড়ে অনেকখানি বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো চাপের মুখে পড়েননি তিশানকভ। উল্টো নিখুঁত শট নেওয়ার উপযুক্ত কোণ পেয়ে যান তিনি।

জাতীয় দল ও ক্লাব, সাম্প্রতিক সময়ে সবখানেই হতাশাজনক দে গেয়ার পারফরম্যান্স। কিন্তু ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছেন না এনরিকে, ‘অবশ্যই, সবসময়ই আপনার বাড়তি কিছু করার থাকে। কিন্তু (কিছু হলেই) দে গেয়াকে দোষারোপ করা ইতোমধ্যে (অনেকের) একটা বাজে স্বভাবে পরিণত হয়েছে।’

রদ্রিগো মোরেনো, আনসু ফাতি, আদামা ত্রাওরেরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। তাছাড়া, যেন চীনের প্রাচীর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন বুশ্চান! মোট আটটি সেভ করে ইউক্রেনকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাইয়ে দিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি।

Bushchan
ছবি: টুইটার

তাই দে গেয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ফরোয়ার্ডদের সুযোগ নষ্টের মহড়াকে বড় করে দেখছেন বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ, ‘তাদেরকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ আমরা তৈরি করেছি। এই ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের হাতে।… কিন্তু শেষ দিকে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’

প্রায় দুই বছর পর কোনো ম্যাচ হারল ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সবশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে তারা মাঠ ছেড়েছিল খালি হাতে। সেদিন ক্রোয়েশিয়া তাদের বিপক্ষে জিতেছিল ৩-২ গোলে।

হারলেও চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লা রোহারা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করা জার্মানি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। তলানিতে থাকা সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ২।

Comments