করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ঠেকাতে ইউরোপে নতুন করে বিধিনিষেধ
ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার বাড়ছে। আজ বুধবার রাশিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৩২১ জনের আক্রান্ত হওয়ার এবং ২৩৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইউরোপের যেসব দেশে এর আগে সফলভাবে ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা গিয়েছিল, সে সব দেশেও সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানায় বিবিসি।
এ অবস্থায় আসন্ন শীতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ঠেকাতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে ইউরোপের অনেক দেশ। চেক প্রজাতন্ত্র স্কুল ও বার বন্ধ করে দিয়েছে, নেদারল্যান্ডসে বন্ধ হচ্ছে ক্যাফে আর রেস্তোঁরা, ফ্রান্সে জারি হতে পারে কারফিউ। স্পেনের কাতালোনিয়া বৃহস্পতিবার থেকে রেস্তোরাঁ ও বারে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করতে যাচ্ছে।
গত এপ্রিলের পর জার্মানিতে এবারই প্রথমবারের মতো পাঁচ হাজার লোক নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। দেশটির অন্তত ৪৭টি এলাকায় প্রতি লাখে ৫০ জন সংক্রমিত হচ্ছে। একে 'ব্যাপকহারে সংক্রমণ বৃদ্ধি' বলে দেখছেন দেশটির আরকেআই জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমান সংক্রমণের হার অব্যাহত থাকলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সব আইসিইউ বেড ভরে যাবে।
পোল্যান্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা মহামারি শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ।
উত্তর আয়ারল্যান্ড আগামী সোমবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার থেকে অতিথি-আপ্যায়ন সেবা সীমিত করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চার সপ্তাহের জন্য ক্যাফে ও রেস্তোঁরা বন্ধ করার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসে স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর থেকে আংশিক লকডাউন রাখা হচ্ছে।
গতকাল থেকে চেক প্রজাতন্ত্রে তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। সেখানে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল, বার ও ক্লাব বন্ধ। গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১০৬ জন মারা গেলেও, আজ বুধবার সেখানে আট হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণের কথা জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্যারিস ও অন্যান্য শহরগুলোর জন্য আজ থেকে নতুন করে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ তে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি সে সব জানাবেন। ইউরোপের অন্যান্য সরকার প্রধানদের মতো তিনিও দেশব্যাপী লকডাউনে যাওয়া এড়াতে সবকিছু করছেন।
গতকাল রাতে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কারফিউ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ চ্যানেল বিএফএম জানায়, প্যারিস ও লাইল শহরে সন্ধ্যায় কারফিউ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফ্রেঞ্চ গায়ানাতে কারফিউ জারি করা হলেও, ধীরে ধীরে তা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
Comments