রায়হানের মৃত্যু: আকবরকে পালাতে না দিতে ইমিগ্রেশনে পিবিআই’র চিঠি

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে দেশ ছেড়ে পালাতে না দেওয়ার জন্য দেশের সব ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রায়হান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে দেশ ছেড়ে পালাতে না দেওয়ার জন্য দেশের সব ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত পিবিআই’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার উপস্থিত গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘পিবিআইয়ের তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে মনে হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই উপপরিদর্শককে আমাদের প্রয়োজন। তাই সে যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করছি।’

এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক আকবরসহ মোট চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

ঘটনার পর সোমবার বিকেলে থেকেই আকবর পলাতক আছেন এবং বাকিরা পুলিশ লাইন্সে আছেন বলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

গত রবিবার ভোররাতে ওই পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে এসে নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেক পরে নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদের (৩৫) মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন সোমবার তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি সিলেটের কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যেখানে তার স্বামীকে ফাঁড়িতেই নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরের এক নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেওয়া হলে, সে রাতে সকল নথি পেয়ে পরদিন বুধবার সকাল থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।

এদিকে নিহত রায়হানের মৃতদেহ আজ সকালে কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

বুধবার সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম কাজী এমদাদুল ইসলামের অনুমতিক্রমে আজ সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

পরে ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

রায়হান হত্যায় দায়ের করা মামলা নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর অধীনে দায়ের করা এ আইনানুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের বিধান থানায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

আরও পড়ুন:

রায়হান হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর

কবর থেকে তোলা হবে রায়হানের মরদেহ

Comments

The Daily Star  | English

Mirpur-10 metro station to reopen tomorrow

Mohammad Abdur Rouf, managing director of Dhaka Mass Transit Company Ltd, revealed the information in a press conference

3h ago