মেসিকে পেতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদও!
এইতো চলতি মৌসুমের শুরুতেও লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জনে টালমাটাল ছিল ফুটবল বিশ্ব। যদিও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এমন গুঞ্জন অবশ্য এর আগেও ছিল। তবে এবারের মতো এতো চড়া নয়। ২০১৩ সালে তাকে পেতে চেষ্টা করেছিল বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও। নিজের আত্মজীবনীমূলক বইয়ে এমনটাই লিখেছেন প্রখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মার্জিও।
কিছু দিন আগে 'গ্র্যান্ড হোটেল ক্যালসিওমার্কেতো' নামক একটি বই প্রকাশ করেছেন দি মার্জিও। সেখানে লিওনেল মেসির ব্যাপারে অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন তিনি। তার এক পর্যায়ে রিয়ালের আগ্রহ নিয়ে লিখেছেন, 'রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব ছিল। ২০১৩ সালে তারা এ আর্জেন্টাইনকে পেতে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি হয়েছিল।'
আর এ অর্থ রিয়াল মাদ্রিদের স্টেডিয়ামে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর জন্য রাখা ছিল বলে জানান দি মার্জিও। স্টেডিয়ামে মেরামতের চেয়ে মেসিকে কেনার ব্যাপারে আগ্রহী বেশি ছিলেন পেরেজ। তবে মেসি তাদের প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন বলে জানান এ সাংবাদিক, 'এ অর্থ মূলত এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে পুনরায় মেরামত করার জন্য রাখা ছিল। তবে মেসি খুব কাটখোট্টাভাবে এর জবাব দিয়েছে। সে সঙ্গে সঙ্গেই বলেছে, "আমি রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছি না, আপনারা সময় নষ্ট করছেন"।'
শুধু রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহের কথাই নয়, এ সাংবাদিক নিজের বইয়ে চেলসির কথাও উল্লেখ করেছেন। ২০১৪ সালে মেসিকে পেতে ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ জোসে মরিনহো। পাশাপাশি ৫০ মিলিয়ন ইউরোর লোভনীয় বেতনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সে প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন মেসি।
নিজের বইয়ে মেসির ট্রান্সফার সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি কর ফাঁকির বিষয়টিও বিস্তারিত তুলে ধরেছেন দি মার্জিও। ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিপক্ষে। এ মামলায় ২১ মাসের জেল হয়েছিল তার। যদিও স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, কম মাত্রার অপরাধ ও প্রথমবার এ অপরাধ করায় জেল খাটতে হয়নি তাকে।
Comments