ঢাকা থেকে নোয়াখালীর পথে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছেন কয়েকটি বামপন্থী ও নারী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ থেকে লংমার্চটি শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে ৯টি দাবি নিয়ে এ লংমার্চ শুরু করেন।
তারা ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নোয়াখালীর দিকে অগ্রসর হয়।
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘আমাদের এই লংমার্চ ধর্ষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে হওয়ায় আশা করি পুলিশ তাতে বাধা দেবে না, তবে কিছু ছাত্র সংগঠনের বাধা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহসভাপতি সাদিকুল ইসলাম সাদিক বলেন, ‘প্রায় ৪৫০ জন নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। প্রথমে গুলিস্তান থেকে সাতটি বাসে যাত্রা শুরু হবে, পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি বাস যুক্ত হবে৷’
এদিকে, লংমার্চকারীরা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি সমাবেশ করেছে এবং শনিবার নোয়াখালীর মাইজদীতে আরেকটি সমাবেশ করবে।
তাদের দাবির মধ্যে আছে- সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ ও বিচারে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ, পাহাড়-সমতলের নারীর ওপর সামরিক-বেসামরিক সকল প্রকার যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করা।
সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনার পর অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে ধর্ষণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়।
ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’ জারি করেন।
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
Comments