পিএসজির বড় জয়ে এমবাপের জোড়া গোল
দুদিন আগে জাতীয় দল ফ্রান্সের জার্সিতে গোল পেয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে নেমেও জালের ঠিকানা খুঁজে নিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তা-ও একবার নয়, দুবার। টমাস টুখেলের শিষ্যদের দুর্দান্ত জয়ের রাতে বিফলে গেল নিম গোলরক্ষক বাপতিস্ত রেনের বীরত্ব।
শুক্রবার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানে প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। এ ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন নেইমার, আনহেল দি মারিয়াসহ দলটির আরও অনেক তারকা। তারপরও জয় পেতে সমস্যা হয়নি আসরের শিরোপাধারীদের। তাদের পক্ষে বাকি দুটি গোল করেন আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি ও পাবলো সারাবিয়া।
একপেশে ম্যাচে লম্বা সময় পর্যন্ত ব্যবধান বাড়তে দেননি রেনে। আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়ে মোট ৩০টি শট নেয় পিএসজি, সুযোগ তৈরি করে ২৯টি। তবুও ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-০। কিন্তু রেনের অসাধারণ সব সেভের পরও শেষ পর্যন্ত বড় হার এড়াতে পারেনি নিম। ২৯ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক মোট সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন।
স্বাগতিকদের দুর্দশার শুরুটা হয় দ্বাদশ মিনিটে। রাফিনহাকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার লোইক লাঁদ্রে।
চাপ ধরে রেখে সফরকারীরা গোল আদায় করে নেয় ৩২তম মিনিটে। রাফিনহার রক্ষণচেরা পাসে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। এরপর গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোণাকুণি শটে বল জালে পাঠান এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
রেনের নৈপুণ্যে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ও দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় জুড়ে আক্ষেপে পুড়তে হয় পিএসজিকে। এমবাপে, মইসে কিনদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে আবির্ভূত হন তিনি।
ভাগ্য সহায় ছিল না ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফ্লোরেঞ্জির। ৬৬তম মিনিটে সারাবিয়ার ক্রসে তার জোরালো ভলি লাগে পোস্টে। নয় মিনিট পর মিচেল বাক্কারের ক্রসে তার হেডও প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে।
দুই মিনিট পরই অবশ্য হতাশা কাটে ফ্লোরেঞ্জির। কলিন দাগবার ক্রসে সারাবিয়া হেড করার পর আরেক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর আর পিএসজিকে আটকানো যায়নি।
ছয় মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপে। ম্যাচ জুড়ে অসাধারণ খেলা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সারাবিয়ার থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে পৌঁছে যান তিনি। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় পরাস্ত করেন রেনেকে।
সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখার পর সারাবিয়া নিজে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ৮৯তম মিনিটে। দাগবার পাসে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন তিনি। তার আগে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড কিনের হেড বাধা পায় ক্রসবারে।
লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর টানা পঞ্চম জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে পিএসজি। সাত ম্যাচে তাদের অর্জন ১৫ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে আছে রেঁনে। ত্রয়োদশ স্থানে থাকা নিমের পয়েন্ট ৮।
Comments