স্নায়ুচাপে নয়, বরং রেগে ছিলেন গেইল

রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার দেখা গেছে দুটি সুপার ওভার
Chris Gayle
ফাইল ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

দ্বিতীয় সুপার ওভারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের লক্ষ্য ছিল ১২ রান। প্রথম সুপার ওভারে সুযোগ না পাওয়া ক্রিস গেইল নামেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে। আগের সুপার ওভারে কেবল ৫ রান নিতে পেরেছিলেন লোকেশ রাহুল, নিকোলাস পুরান আর দীপক হুডা। এমন পরিস্থিতিতে স্নায়ুচাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গেইল জানালেন, চাপে নয় বরং রেগে ছিলেন তিনি।

রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার দেখা গেছে দুটি সুপার ওভার। মুম্বাইর ১৭৬ রানের তাড়ায় পাঞ্জাব ১৭৬ রানে থামলে সুপার ওভারে যায় ম্যাচ। জাস্টপ্রিট বোমরাহ সে ওভারে মাত্র ৫ রান নিতে পারে পাঞ্জাব। ৬ রানের সহজ সমীকরণে মোহাম্মদ শামী হয়ে উঠেন নায়ক। মুম্বাইকে আটকে রাখেন ৫ রানেই। সুপার ওভারও হয়ে যায় টাই।

আরও পড়ুন- ইতিহাসে এমন ম্যাচ আগে দেখেনি আইপিএল



দ্বিতীয় সুপার ওভারে মুম্বাই করে ১১ রান। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কায় পথ সহজ করে দেন গেইল। পরে দুই বাউন্ডারিতে খেলা শেষ করেন মায়াঙ্ক।

এমন একটা উত্তেজনাময় আর নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে স্নায়ুচাপে ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু গেইল জানালেন ম্যাচটা অনেক আগেই জেতা উচিত ছিল তাদের।

মূল খেলায় তাড়া করতে নেমে ম্যাচ জেতার একদম কাছেই চলে গিয়েছিল পাঞ্জাব। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল কেবল ৯ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা ওই ওভারে প্রথম বলে দীপক হুডা প্রান্ত বদল করেন। স্ট্রাইক পেয়ে ক্রিস জর্ডানের ব্যাটের কানায় লেগে হয়ে যায় বাউন্ডারি। পরের ৪ বলে ৪ রান আর নিতে পারেনি পাঞ্জাব। শেষ বলে দরকার ছিল ২, জর্ডান ১ রান সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন। তবে এই ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছেন বড় অদ্ভুতভাবে। ফিল্ডারের মনযোগ ব্যহত করতে গিয়ে সোজাপথে রান না নিয়ে অনেকখানি জায়গা নেন তিনি।

ম্যাচ এই অবস্থায় আসতে হওয়ায় তাই গেইল বরং রাগেই ফুঁসছিলেন, ‘না, আমি স্নায়ুচাপে ছিলাম না। আমি বরং কিছুটা রেগে ছিলাম যে আমাদের এই অবস্থায় আসতে হলো। কিন্তু এটা ক্রিকেট খেলা, এমন কিছু হতে পারে।’

মূল ম্যাচে ৫১ বলে ৭৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লোকেশ রাহুল। তবে গেইলের মতে এই ম্যাচের সেরা আসলে সুপার ওভারের নায়ক পেসার মোহাম্মদ শামি,  ‘শামি হচ্ছে আমার কাছে এই ম্যাচের সেরা।  রোহিত ও ডি ককের বিপক্ষে ৬ রান ডিফেন্ড করা, সত্যিই দুর্দান্ত। অসাধারণ করেছে সে।’

পরে শামিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি তোমাকে নেটে খেলেছি, আমি জানি তুমি এরকম ইয়র্কার করতে পার। এবং সেটা করে দেখাল। আজ সে আমাদের জন্য খেলাটা এনে দিয়েছে।’

পেসার শামি জানান কীভাবে তিনি রোহিত শর্মা, কুইন্টেন ডি ককের মতো ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছিলেন, তিনি দেননি ৫ রানের বেশি,  ‘এটা খুব কঠিন ছিল। যখন আপনি ১৫-১৭ রান ডিফেন্ড করবেন সুপার ওভারে, সেটা আরেকটা ব্যাপার। আপনার মনের ভেতরে তখন কাজ করবে যে এটা পারবেন। কিন্তু যখন পূঁজি হবে খুব কম। তখন বুঝতে হবে আপনার সেরাটা কি আছি। আমি নিজের উপর ভরসা রেখেছি। যখন প্রতিটা বল করছিলাম, নিজেকে বলছিলাম, ‘এই বলটা দারুণ, পরের বলটাও দারুণ হতে হবে। ছয়বার আমি এটা করেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

12th national elections: 731 of 2,716 nominations rejected

Nomination papers rejected mainly for three reasons, says EC joint secretary

1h ago